ঠাকুরগাঁওয়ে কমতে শুরু করেছে শীতকালীন নানা রকম সবজির দাম। কেনাবেচায় জমজমাট পাইকারি হাটবাজার। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকার ভেদে বেশকিছু সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে। 

পৌরশহরের গোবিন্দনগর সবজির আড়ৎ ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি, বাধাকপি, আলু ও শিমের দাম বেশ কমেছে। গত সপ্তাহে ফুলকপি কেজিতে ২৫ টাকা থেকে ২৮ টাকা দরে বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৪ টাকা দরে। এছাড়া কমেছে টমেটোর দামও। প্রতি কেজি দেশি নতুন আলু প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। ফুলকপি ১৫ থেকে ১৭ টাকা, বাধাকপি ৭ থেকে ১০ টাকা, শিম ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বেগুন প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ব্রকলি ১৩ থেকে ১৪ টাকা, শসা ১৬ থেকে ২০ টাকা, টমেটো প্রকারভেদে ১৫ থেকে ২৬ টাকা, লাউ প্রতি পিস ১৫ থেকে ১৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য শাকসবজি প্রকারভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা আটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সবজির দাম কমায় খুশি ক্রেতারা। সবজি কিনতে আসা কুলসুম বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে যে দামে কিনেছিলাম তার তুলনায় দাম এখন হাতের নাগালে। শীতকালে সবজির কেনার একটা হিড়িক পড়ে যায়। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ যেমন আম-কাঁঠালের ঋতু, তেমনি পৌষ-মাঘের এ সময়টা হচ্ছে সবজি খাওয়ার। দাম কম থাকলে সব শ্রেণির মানুষের জন্য সুবিধা হয়। আশা করছি, সামনে আরও দাম কমবে।’

বাজার করতে আসা সিয়াম বলেন, আড়ত থেকে প্রতি সপ্তাহে বাজার করে থাকি। গত সপ্তাহে চড়া দাম ছিল। আজকে দাম একদম হাতের নাগালে। দাম এরকম স্বাভাবিক থাকলে স্বস্তিতে সংসার চালানো যাবে। 

আরেক ক্রেতা হিমেল  বলেন, আড়তে পাঁচ কেজি নিলে খুব কম দামে পাওয়া যায়। অথচ খুচরা বাজারে ভিন্নরুপ। এখানে ৮ টাকা হলে খুচরা বাজারে ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। আমরা চাই যাতে ভোক্তা পর্যায়ে কেজিতে এত বেশি দাম না নিতে পারে। 

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি আসায় বাজারে দাম স্বাভাবিক আছে। ক্রেতাদের মধ্যে চাহিদা বাড়লেও বাড়েনি দাম। শীতকালীন সবজি কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। চাহিদা রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, বেগুনসহ সবরকম সবজির।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে সবজি উৎপাদন ভালো হয়েছে বলে জানান কৃষকরা। সে কারণে সরবরাহও বেড়েছে বাজারে। এতে কমেছে দাম।

সবজির পাশাপাশি মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের সপ্তাহের মতো প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে মাংস। 

ঠাকুরগাঁওয়ের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ সাদী বলেন, ভোক্তাদের স্বার্থে আমাদের বাজার তদারকি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কেউ বেশি দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরিফ হাসান/আরকে