চালের দাম কেজি প্রতি দুই টাকা কমাতে মিল মালিকদের আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এ আহবানে মিলমালিকরা চালের দাম কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত নয়টায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর জেলা প্রশাসক কার্যালয় মিলনায়তনে মত বিনিময় সভার আয়ো‌জন করে‌। এর আগে সন্ধ্যা ৬টায় দিনাজপুর জেলা মিল মালিক, চাল ব্যবসায়ী, কৃষি বিভাগ, খাদ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী। মত বি‌নিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘মিলগেটে চালের দাম কিছুটা কমেছে। কিছুদিন আগে চালের যে উচ্চমূল্য ছিল চলমান অভিযান কার্যক্রমের ফলে বর্তমানে চালের বাজার অনেক নিয়ন্ত্রণে এসেছে। 

এসময় খুচরা বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও খাদ্য বিভাগের বিশেষ নজরদারি রাখার নির্দেশনা দেন খাদ্যমন্ত্রী।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, অভিযান কিংবা আইন প্রয়োগ করে চালের দাম কমাতে আমরাও চাই না। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্য বাংলাদেশ গড়ার যে ঘোষণা তা বাস্তবায়ন করতে এক জায়গায় সকলে একত্রিত হয়ে দেশের মানুষের জন্য হলেও সকল পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এছাড়া ১ মার্চ থেকে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। প্রায় ৫০ লাখ পরিবার এই কর্মসূচির আওতায় এলে চালের দাম আরও কমে আসবে।
 
মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব মিল মালিক সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেও সংগ্রহ অভিযানে চাল দেননি, বিভিন্ন মেয়াদে তাদের শাস্তি হয়েছিল। ইতোমধ্যে তাদের শাস্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তারা পুনরায় লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করলে তা ফেরত পাবেন। তবে অবশ্যই পরবর্তীতে একই ভুল করতে পারবেন না।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন, দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, রংপুর বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফুল আলম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল হোসেন, বাংলাদেশ অটো মেজর হাস্কিং মিল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি সহিদুর রহমান পাটোয়ারী, শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী, চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি মোসাদ্দেক হুসেন ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলওয়ার হোসেন প্রমুখ।

এমএসএ