সিরাজগঞ্জ বিআরটিএ
ভোগান্তির ভয়েই দালাল ধরেন সেবাপ্রার্থীরা
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সিরাজগঞ্জ অফিসে স্বাভাবিক নিয়মে কাজ করতে গেলে হয়রানি ও ভোগান্তির যেন শেষ নেই। ১০ মিনিটের কাজের জন্য ঘুরতে হয় মাসের পর মাস। তবে দালালের মাধ্যমে গেলেই সহজে মেলে সমাধান। প্রায় সব সমস্যার সমাধান আছে দালালদের কাছে।
চুক্তিতে মেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স। আর টাকা বাড়িয়ে দিলে মেলে শিক্ষা সনদও। পরীক্ষায় পাস করানোর দায়িত্বও নেন তারাই, সেবাপ্রার্থীকে শুধু পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। ফলে ভোগান্তির ভয়েই দালাল ধরেন সেবাপ্রার্থীরা।
বিজ্ঞাপন
এদিকে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কঠোর পদক্ষেপে প্রায় অনেকটাই দালালমুক্ত হয়েছে বিআরটিএ অফিস প্রাঙ্গণ। কিন্তু এখনো দালালরা অফিসের আশপাশে বেশ সক্রিয়। শুধু লাইসেন্স নয়, এই অফিসের প্রায় সব কাজেই দালালদের ওপরেই নির্ভর করেন সেবাপ্রার্থীরা। তবে অফিসে কোনো দালাল নেই বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিনে বিআরটিএ অফিসে গিয়ে একাধিক সেবাপ্রার্থী ও দালালের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই অফিসের ওপরেই নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে প্রায় ১০০ পরিবার। কোনো না কোনোভাবে এই অফিসের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে পরিবারগুলোর রুটি-রুজি।
সিরাজগঞ্জ বিআরটিএ অফিসের হিসেবে, জেলায় প্রায় ১২ হাজারের অধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা থাকলেও নিবন্ধনের আওতায় এসেছে ৪ হাজার তিনটি। নিবন্ধনকৃত ৪ হাজার ৩টিরও আবার নেই ফিটনেস। তবে জেলা ট্রাফিক বিভাগ বলছে জেলায় সর্বমোট ৬ থেকে ৭ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা থাকতে পারে। জেলায় ৬০ হাজারের ওপরে নিবন্ধিত মোটরসাইকেল থাকলেও অনিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা পাওয়া যায়নি।
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার গোপালপুর গ্রামের যুবক হিমেল। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার শান্তিনগর এলাকার হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজে। ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তিনি। কিনেছিলেন ইয়ামাহা এফজেড ব্র্যান্ডের একটি ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। সেটার মালিকানা পরিবর্তনের জন্য ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জ বিআরটিএতে আবেদন করেন তিনি। ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে নিজেই দিয়েছিলেন আবেদন। সে সময়ের অফিস সহকারী তার কাছে এক হাজার টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। শিক্ষার্থী হিমেল ৫০০ টাকা দিয়েছিলেন। এরপর কেটে গেছে দুই বছর। তার অভিযোগ, চাহিদা মতো ঘুষ না দেওয়ায় দুই বছরেও কাজ হয়নি।
হিমেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই বছর আগে মালিকানা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করি। ফাইল জমা দেওয়ার সময় তখনকার অফিস সহকারী আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন কারো মাধ্যমে এসেছেন কিনা। এরপর তিনি এক হাজার টাকা ঘুষ চাইলে আমি ৫০০ টাকা দিয়েছিলাম। তার চাহিদা মতো ঘুষ না দেওয়া এবং কোনো দালালের মাধ্যমে না যাওয়াই আমার জন্য কাল হয়েছে। শুধু এই ডাটাটা এন্ট্রি দিয়ে আমার ফিঙ্গার প্রিন্টের তারিখ দেবে। এর জন্যই দুই বছর ঘুরছি।
তিনি বলেন, ডাটা অনলাইনে দিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্টটা নিলে গাড়ির মালিকানা আমার নামে চলে আসবে। কিন্তু দুই বছর হলো শুধু তারা আমাকে নানান সমস্যা দেখিয়ে সময়ই দিচ্ছে। গেলে রশিদে শুধু সময় বাড়িয়ে দেয়।
দুই বছরে সর্বমোট চার বার সময় বাড়িয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে হিমেল বলেন, যদি নিজে না গিয়ে কোনো দালালের মাধ্যমে যেতাম অথবা ওই ব্যক্তির চাওয়া অনুযায়ী ঘুষ দিয়ে দিতাম তাহলে আজকে আমাকে এভাবে ঘুরতে হতো না।
আরেক ভুক্তভোগী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কালিয়া গ্রামের ওয়াসিম হোসেন। একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ম্যানেজারের চাকরি করা ওয়াসিমের অভিযোগ, ঘুষ না দেওয়ায় তার ১০ মিনিটের কাজ দেড় মাস অতিবাহিত হলেও হয়নি।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার আগের অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঙ্গে হালকা যান যোগ করার জন্য আবেদন করি। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি অনলাইন আবেদনের পর ডিসেম্বরের ১২ তারিখে পরীক্ষা দেই। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে কোনো প্রকার ঘুষ ও দালাল ছাড়াই কাজ করতে চাই। তারপর পরীক্ষায় পাস করার পর সেদিনই ফিঙ্গার প্রিন্ট দেই। পরদিন (১৩ ডিসেম্বর) ব্যাংকে সরকারি ফি জমা করে বিআরটিএ অফিসে গিয়ে সব কিছু চেক করে অনলাইনে অ্যাপ্রুভ দিতে বলি। কিন্তু মোটরযান পরিদর্শক বলেন, সকল নথি দেখে অ্যাপ্রুভ দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে একটু সময় লাগবে বলে সেখানে থাকা বহিরাগত একজনের কাছে আমার কাগজপত্র দিয়ে আসতে বলেন। আমি সেই অনুযায়ী তার কাছে কাগজপত্র দিয়ে চলে আসি। এরপর দেড় মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও পরিদর্শকের সেই একটু সময় আর হয়নি।
আরও পড়ুন
ওয়াসিম হোসেন বলেন, এরপর আমি বেশ কয়েকবার গিয়ে মোটরযান পরিদর্শককে বললেও তিনি একই কথা বলেন। আমি তাকে অনেক অনুরোধ করেও বলেছি, তবুও কাজ হয়নি। ফাইল দেখে অ্যাপ্রুভ দিতে যেখানে সর্বোচ্চ ১০-১৫ মিনিট সময় লাগবে। কিন্তু সেটা তিনি দেড় মাসেও দেননি। আসল কথা হলো যেহেতু আমি কোনো দালালের মাধ্যমে যাইনি এবং তাদেরকে কোনো ঘুষও দেইনি তাই তিনি ইচ্ছা করেই আমার ফাইল দিচ্ছেন না। এটা ফাইল আটকে রেখে হয়রানি ছাড়া আর কিছুই নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জ বিআরটিএ অফিসের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ আমির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি আসলে এমন নয়, উনি যে আবেদন করেছেন সে ক্ষেত্রে তার নথি বের করে দেখে অ্যাপ্রুভ দিতে হবে তাই একটু সময় লাগছে। এছাড়াও আমি কোনো বাইরের লোকের কাছে তার কাগজপত্র জমা দিতে বলেনি। আমি কাজটি দ্রুত করে দিচ্ছি।
আরেক ভুক্তভোগী সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের সয়াধানগড়া মহল্লার মো. আবু বকর শেখের ছেলে ব্যবসায়ী মো. জুয়েল শেখ। প্রায় তিন বছর আগে দালালের মাধ্যমেই ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু বিআরটিএর সিস্টেম জটিলতার কারণে এখনো লাইসেন্স পাননি তিনি।
জুয়েল শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এক দালালের মাধ্যমে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলাম। এর অনেকদিন পর লাইসেন্সের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্টও দেই কিন্তু লাইসেন্স আসে না। কয়েকবার অফিসে গেলে আবেদনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়। এভাবেই সর্বশেষ গতবার আবার গেলে অফিসের একজন বলে আপনার কোনো তথ্যই সার্ভারে নেই। এমনকি আমাকে বলা হয় যে আপনার আবেদনই ভুয়া। এদিকে যে দালালের মাধ্যমে আবেদন করেছিলাম সেও লাপাত্তা। এখন মহাবিপদে পড়ে গেছি। আমার কোনো পরীক্ষাও নেওয়া হয়নি। পরীক্ষা ছাড়াই ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া হয়েছিল।
সিরাজগঞ্জ বিআরটিএ অফিসের সহকারী পরিচালক আলতাব হোসেন বলেন, যদি কেও তাকে ভুয়া বা জাল বলে থাকে তাহলে সেটা সঠিক নয়। আসলে এর আগে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের যে আইটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি ছিল তাদের সঙ্গে চুক্তি শেষ করে আরেকটি নতুন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। যার ফলে এমনটা হয়েছে। তিনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে এর সমাধান পেয়ে যাবেন।
পরিচয় গোপন রেখে এই প্রতিবেদক একজন দালালের কাছে নিজেও লাইসেন্স করাতে চান এবং শিক্ষা সনদ নেই বলে জানান। সেই দালালদের কাছেই মেলে সকল সমস্যার সমাধান।
নম্বর সংগ্রহ করে মুঠোফোনে কল দেওয়া হয় সেই দালালকে (সামাজিক ও নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ করা হলো না)। ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাই, সেক্ষেত্রে কীভাবে করব এবং কতদিন সময় লাগবে জানতে চাইলে দালাল বলেন, সকল কাগজপত্র নিয়ে আসবেন করে দেব। অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য লাগবে ১১ হাজার টাকা এবং পেশাদারের জন্য লাগবে ১২ হাজার। অফিস খরচ বেড়ে গেছে। টাকা তিন কিস্তিতে দিতে হবে। প্রথমে ৩ হাজার, এরপর পরীক্ষার ১৫ দিন আগে ৩ বা ৪ হাজার এবং পরীক্ষার ৭দিন পর বাকি টাকা দিতে হবে।
এ সময় পরীক্ষায় পাস করানোর দায়িত্বও তিনি নিয়ে বলেন, শুধু পরীক্ষায় উপস্থিত থাকতে হবে।
লাইসেন্স করার জন্য শিক্ষা সনদ নেই বলা হলে তিনি বলেন, সমস্যা নাই তাহলে সার্টিফিকেট একটা বানায়ে দিমু। সেক্ষেত্রে আরও ১৫০০ টাকা বেশি লাগবে। ৫০০ টাকা আমার আর ১০০০ টাকা অফিসে দেওয়া লাগে।
জেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক গ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহিদ হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলায় সর্বমোট ১০-১২ হাজারের মতো সিএনজি অটোরিকশা থাকতে পারে। যারা লাইসেন্স করে তাদের মুখে শুনি বিআরটিএ অফিসে কাজ করতে গেলে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি টাকা লাগে। তবে সেটা অফিস নেয় নাকি যাদের মাধ্যমে কাজ করায় তারা নেয় এটা বলতে পারব না।
সিরাজগঞ্জ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সড়ক বিষয়ক সম্পাদক গ্যাদা শাহিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিআরটিএতে শ্রমিকদের খুবই হয়রানি হতে হয়। দালালদের মাধ্যমে কাজ করতে হয় তো, অফিসার পর্যন্ত পৌঁছাতেই দেয় না। শ্রমিকরা সাধারণত হয়রানি ও পরীক্ষায় ফেল করার ভয়েই দালালদের মাধ্যমে যান। সেখানে অতিরিক্ত টাকাও লাগে।
সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা হয় বিআরটিএর সিরাজগঞ্জ অফিসের সহকারী পরিচালক আলতাব হোসেনের সঙ্গে। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, এই অফিসে এখন একজন দালালও নেই। ডিসি মহোদয় এবং আমার কঠিন নির্দেশনা আছে যেন অফিস এলাকায় কোনো দালাল না থাকে। তারপরও বাইরে বা দূর-দূরান্তে কেউ থাকলে কী করার আছে বলেন। অফিসে এখন সেবাপ্রার্থীর তেমন কোনো কাজই নেই, আবেদন হয় অনলাইনে। তারপর পরীক্ষা দিয়ে পাস করলে এসে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে চলে যায়। আর মানুষজন কেনইবা দালালের কাছে যায় এটাও বুঝি না। এই অফিসে দালাল থাকার কোনো সুযোগ নেই।
দালালের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষা হয় একটা কমিটির মাধ্যমে। সেখানে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিভিল সার্জনের কর্মকর্তা ও আমাদের মোটরযান পরিদর্শক থাকেন। সেখানে আমিও থাকি না। তাহলে এদের মধ্যে দালাল কীভাবে পরীক্ষায় পাস করানোর দায়িত্ব নেন আমি জানি না।
শিক্ষা সনদ বানিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, যখন কেউ অনলাইনে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন তখনই তিনি এগুলো সংযুক্ত করেন। এখানে তো আমাদের কোনো কাজ নেই। আমরা শুধু পরীক্ষার সময় সেগুলো প্রাথমিকভাবে দেখি যে ঠিক আছে কী না। কিন্তু সেগুলো সত্য ও সঠিক নাকি জাল করা সেভাবে আসলে তদন্ত করে দেখার সুযোগ হয় না।
গ্রাহকদের ভোগান্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে আলতাব হোসেন বলেন, আমি খুব অল্পদিন হলো এখানে এসেছি। এর আগে কী হয়েছে জানি না। আমি চাই সেবাপ্রার্থীরা কোনো সমস্যা থাকলে আমার কাছে আসুক, আমি তাদের সমাধান দেব।
আরও পড়ুন
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, বিআরটিএ অফিসের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে গেছে। দালালদের সঙ্গে ওই অফিসের একটা দারুণ লিংক আছে। তাদের মাধ্যমে গেলে কাজ খুব তাড়াতাড়ি হয় নয়তো নিজে করতে গেলেই হয়রানির শেষ নেই।
সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (অ্যাডমিন) মো. জাফর উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্বাভাবিকভাবেই কোনো যানবাহনের কাগজপত্র ঠিক না থাকলে বা কোনো চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে আইনের আওতায় আনা হয়। আমরা সাধারণত বিভিন্ন অপরাধে গড়ে মাস ভেদে ১৫ থেকে ২৫ লাখ টাকার পর্যন্ত মামলা দিয়ে থাকি। এটা নির্ভর করে কোন মাসে কতটা মামলা হলো তার ওপরে।
তিনি জেলার বাইরে থাকায় জেলার বৈধ-অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা বলতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, জেলায় মোট সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা সর্বোচ্চ ৬-৭ হাজারের মতো হতে পারে।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিআরটিএর পরীক্ষায় আমাদের ট্রাফিক বিভাগের একজন প্রতিনিধি থাকেন। এমন সব অভিযোগের বিষয়ে জানতাম না। কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ বা তথ্য আসলেই ব্যবস্থা নেব। এছাড়াও বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হবে।
সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিআরটিএ অফিসে ইতোমধ্যেই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কিছু পদক্ষেপ নিয়ে অফিস দালালমুক্ত করেছি। পরীক্ষা কেন্দ্রে আমার জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকেন। তিনি লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষাসহ সব কিছু মনিটরিং করেন। সেখানে অন্য কেউ পাস করিয়ে দেবেন এমন কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা পরীক্ষা পর্যন্ত দেখতে পারি কিন্তু লাইসেন্স দেওয়ার এখতিয়ার বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের। এছাড়াও ভুক্তভোগীরা আমার কাছে আসে না। এলে আমি সেভাবে ব্যবস্থা নিতে পারি। তারপরও যদি সার্টিফিকেট বানিয়ে দেওয়া বা এমন বিষয়গুলো থাকে তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।
আরএআর