পটুয়াখালী শহরের মো. মেহেদী হাসান রাহাত নিজেকে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের হেড অব অ্যাডভার্টাইজার ও এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিতেন। একটি মোবাইল কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হলেও তিনি মূলত বড় ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে বন্ধুদের ফাঁদে ফেলেছেন। আর এভাবে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন তিনি। 

তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন।  

প্রতারণার শিকার মেহেদী হাসানের দুই বন্ধু আবু সাঈদ খান ও মো.মশিউর রহমান মামলাটি দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, মেহেদী বলেছিলেন তার ব্যবসায় বিনিয়োগ করলে সবাইকে টাকার অনুপাতে লভ্যাংশ দেওয়া হবে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মেহেদী তার বন্ধু আবু সাঈদ খানের কাছ থেকে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ধাপে ধাপে ব্যাংকের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা নেন। এ ছাড়া মশিউর রহমানের কাছ থেকে গত বছরের ৩১ অক্টোবর ১ লাখ টাকা নেন।  

আবু সাঈদ খান বলেন, বন্ধু হিসেবে আমাদের সাথে সম্পর্ক করে ব্যবসার কথা বলে বিভিন্নভাবে আমার কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা নিয়েছে মেহেদী। ওর আচরণ ও ব্যবহারে মনে হয়নি সে এত বড় প্রতারক। এখন আমি নিঃস্ব হয়ে আদালতের মুখোমুখি হয়েছি।  

মশিউর রহমান বলেন, আমার বাবার জমানো টাকা থেকে ব্যবসার কথা বলে আমার কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছে,‌ এ ছাড়াও আমাকে বলেছে চাকরির ব্যবস্থা করে দেবে। সেই সুবাদে এক লাখ টাকা ধার হিসেবে নিয়েছে। এখন তো শুনি আমাদের অনেক বন্ধুদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে সে এখন পালিয়েছে।’

এ ব্যাপারে মামলার আইনজীবী গাজী আল মামুন ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সদর থানার বেঞ্চ সহকারী ফয়সাল মাহমুদ জানান, মামলাটি আদালতে উপস্থাপন করলে বিচারক অভিযুক্ত মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।

মাহমুদ হাসান রায়হান/এনএফ