কিশোর গ্যাং গ্রুপের সন্ত্রাসীদের দাবি করা চাঁদা না দেওয়ার কারণে মিলন হোসেনকে (২৭) হত্যার পর  মরদেহ পদ্মার চরে পুঁতে ফেলা হয়। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পদ্মা নদীর চর থেকে মরদেহের ১০ টুকরো পদ্মার চরের চার স্থান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি গত বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। 

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এসকে সজিবসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সজিব কিশোর গ্যাং বিএসবি গ্রুপের প্রধান। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সকালে হাউজিং এলাকার সজল নামে একজন মিলনকে মোবাইলে কল করে ডেকে নিয়ে যান। কল পেয়ে শহরের ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। নিখোঁজের পর বুধবার সন্ধ্যায় মিলনের স্ত্রী মিমি কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর মোবাইলের কল লিস্টের সূত্র ধরে সাবেক ছাত্রলীগের নেতা এসকে সজিবসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন তারা। এরপর তাদের দেখানো পদ্মার চরের ৪ জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মরদেহের ১০ টুকরো। 

সজিবের নেতৃত্বে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মিলনকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে যান তারা। এরপর কুষ্টিয়ার হাউজিং এলাকার একটি বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। এ সময় মরদেহের ১০ টুকরো করা হয়। পরে মরদেহ নিখোঁজের উদ্দেশ্যে ১০ টুকরো করে পলিথিনের ব্যাগে করে পদ্মার পাড়ে নিয়ে যান ৭ জন। এরপর পায়ে হেঁটে নদীর পাড় থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে গিয়ে নদীর চরের চার স্থানে বালুর ভেতরে পুঁতে ফেলেন। 

মিলন হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পূর্ব বাহির মাদি এলাকার মাওলা বক্সের ছেলে। তিনি আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতেন। গত ১০ মাস আগে বিয়ে করেন। স্ত্রী মিমিকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। 

রাজু আহমেদ/এএএ