গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে পলিথিনে মোড়ানো কাগজের তৈরি মলাট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। আর তিনজনের থাকার প্লাস্টিক বস্তা বিক্রি হচ্ছে তিন শ টাকায়। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

বিশ্ব ইজতেমার ৭নং গেটের সামনে পলিথিনে মোড়ানো কাগজের তৈরি মলাট বিক্রি করছিলেন পারভেজ আহমেদ। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, আমি একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। আমার এক স্বজন কারখানার ঝুট মালামালের ব্যবসা করে। সেখান থেকে পাইকারি দামে এনে আমি বিক্রি করছি, মুসল্লিরাও তা কিনে নিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, ৬ টাকায় কাগজ কিনে এনে ১০ টাকায় বিক্রি করছি। ৪ টাকা লাভ হচ্ছে। তবে কোনো মুসল্লির কাছে যদি টাকা কম থাকে চেষ্টা করছি তাকেও দিয়ে দিতে।

প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে তৈরি চট বিক্রি করছিলেন সাখাওয়াত হোসেন। ঢাকা পোস্টকে তিনি জানান, প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমায় চট সংকট দেখা দেয়। এ চিন্তায় আগে থেকেই বস্তা তৈরি করে রাখা হয়েছে। আমি চার শ টাকা দাম চাচ্ছি। কোনো মুসল্লি সাড়ে তিন শ বা তিন শ টাকা দাম বললেও দিয়ে দিচ্ছি। তবে তিন শ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব না।

এ ছাড়া প্রতি গজ পলিথিন ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছিলেন আরাফাত হোসেন। তিনি বলেন, এবারের ইজতেমায় কিছু অংশ শামিয়ানা টানানো হয়নি। ময়দান ছেড়ে মুসল্লিরা বসেছেন রাস্তায়। তাই গজ পলিথিনের চাহিদা রয়েছে। আমরা সামান্য কিছু লাভে পলিথিন বিক্রি করছি।

পাশেই পটেটো ক্র্যাকার্সের প্যাকেট দিয়ে তৈরি পলিথিন বিক্রি করছিলেন আনিছ। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, প্রতি পিস পলিথিন ২০ টাকায় বিক্রি করছি। এতে আমার সামান্য আয় হলেও মুসল্লিদের উপকার হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, আগামীকাল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) শুরু হচ্ছে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব (মাওলানা জুবায়ের অনুসারী)। এ পর্ব চলবে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আবার চার দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার ২য় পর্ব (মাওলানা সাদ অনুসারী) শুরু হয়ে তা চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

শিহাব খান/এমজেইউ