পিরোজপুরের কাউখালীতে চালককে হত্যা করে ভ্যান চুরির ঘটনায় ছাইদুল ইসলাম মোল্লা ওরফে সাইফুল (২৬) নামের একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ছাড়া সঞ্জয় চন্দ্র দেবনাথ (৪৯), শেখ মাইনুল হাসান জামাল (২৭) ও পল্টু কুমার দাস পল্টন (২৮) নামে আরও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মোক্তাগীর আলম তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ছাইদুল ইসলাম মোল্লা পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বুইচাকাঠি গ্রামের আকরাম মোল্লার ছেলে, সঞ্জয় চন্দ্র দেবনাথ কাউখালী উপজেলার চিরাপাড়া গ্রামের মনরঞ্জন দেবনাথের ছেলে, পল্টু কুমার দাস পল্টন একই গ্রামের সুনীলচন্দ্র দাসের ছেলে ও শেখ মাইনুল হাসান জামাল কাউখালী উপজেলার ডুমজুরি গ্রামের শাহজাহান আলী শেখের ছেলে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই কাউখালী উপজেলার চিরাপাড়া ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আ. ছালেক সরদারের বাড়ির পেছনে একই গ্রামের রবীন্দ্রনাথ মন্ডলের পানের বরজের পশ্চিম পাশের বেড়ের (নালা) পানিতে একটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় মরদেহের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওই দিনই কাউখালী থানা পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি কাউখালী থানা পুলিশের এসআই মো. জলিল আহম্মেদ চারজনকে আসামি করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অজ্ঞাত ওই মরদেহ মিজান শেখ মানিক নামের এক ব্যক্তির। তিনি ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালাতেন। ঘটনার দুই দিন আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালের ১৪ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আসামিরা মিজান শেখ মানিককে কৌশলে ঘটনাস্থলে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ বেড়ের পানিতে ফেলে দেয় এবং ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়।

আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) জহুরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এই রায় দেন। আসামিদের মধ্যে পল্টু কুমার দাস পল্টন পলাতক রয়েছেন।

এমজেইউ