ফাইল ফটো

কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের তীব্রতা। তীব্র ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে গোটা জনপদ। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ৮ দিন ধরে এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিলছে। সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হচ্ছে।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

দিনের অধিকাংশ সময় সুর্যের দেখা মিলছে না। এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দিকাশি, জ্বরসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ১২ শয্যার বিপরীতে ৪৪ জন এবং শিশু ওয়ার্ডের ৪৪ শয্যার বিপরীতে ৭৭ জন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।

কুড়িগ্রাম উলিপুর উপজেলার দলদলি ইউনিয়নের চাপড়ার পাড় এলাকার কৃষক নিরাশা বলেন, কয়েকদিন থেকে সূর্যের দেখা মেলায় দিনে ঠান্ডা কম লাগছে। তবে সকাল ও সন্ধ্যায় খুব ঠান্ডা লাগে। তারপরেও সকাল বেলা জমিতে কাজ করতেই হয়। সে সময় হাত পা বরফ হয়ে যায়। 

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এ মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তারপর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

জুয়েল রানা/আরকে