পদ্মায় যানবাহন নিয়ে ডুবে যাওয়া ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধার দ্বিতীয় ইঞ্জিন চালক মো. হুমায়ুন কবিরের লাশ দাফন করা হয়েছে। গতকাল পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মাটিভাঙ্গা গ্রামে বাবা-মায়ের কবরের কাছে হুমায়ুন কবিরকে দাফন করা হয়।

গতকাল হুমায়ুন কবিরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় হৃদয় বিদারক দৃশ্য। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে স্ত্রী সন্তানদের আহাজারিতে উপস্থিত সবাই স্তব্ধ। নিহত ব্যক্তির স্ত্রী-স্বজনদের কান্নার শব্দে বাতাস যেন ভারী হয়ে উঠেছে।

ঘরের ভেতর থেকে হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী রোজী আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে আমাকে ফোন দিয়ে বলেন আমি শুক্রবার বাড়িতে আসবো, পাঞ্জাবিটা ধুয়ে রেখো, ছেলেকে নিয়ে মসজিদে যাব। এ কথাই যে শেষ কথা হবে তা বুঝতে পারিনি। বাড়িতে যে লাশ হয়ে ফিরতে হবে তা কে বুঝেছিল।

হুমায়ুন কবিরের মেয়ে কামরুন্নাহার কলি (১৭) বলেন, বাবা আমাদের প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ বার কল দিত। আমাদের এখন আর কল দেওয়ার কেউ থাকল না।

 
সাবেক ইউপি সদস্য মো. মনসুর আলী বলেন, হুমায়ুন ছোট থেকে অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছে। সে অনেক ভালো মনের মানুষ ছিল। আমরা স্থানীয়রা তাকে আমাদের মসজিদের সভাপতি করেছি। এই শুক্রবার বাড়িতে আসার কথা আমাদের সকলকে জানিয়েছিল।

হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম শাওন জানান, পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার ভাটিতে হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে হুমায়ুন কবিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

এনএফ