আবারও শৈত্যপ্রবাহের কবলে দিনাজপুর
আবারও শৈত্যপ্রবাহের কবলে দিনাজপুর। শীতে কাঁপছে এ অঞ্চলের মানুষ। দিনাজপুর আবহওয়া অফিসের তথ্যমতে সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্র ছিল ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ৮৮ শতাংশ।
এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। শীতের পাশাপাশি ঘন কুয়াশা ও শীতল বাতাস নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছে। তীব্র শীতে উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের তেমন অসুবিধা না হলেও বিপাকে পড়তে হয়েছে নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষদের। শীতের মধ্যে শত কষ্ট হলেও পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন কাজের সন্ধানে। এই তীব্র শীতে কষ্ট পেতে হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধসহ সব বয়সের মানুষদের। উষ্ণতার আশায় কেউ বা আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকানে। দূরপাল্লার গাড়িগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
বিজ্ঞাপন
ইটভাটা শ্রমিক নাজমুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে তো ঠান্ডা। কয়েকদিন বাসায় বসে ছিলাম কাজে আসতে পারি নাই। আর কতদিন বসে থাকব ঠান্ডা তো কমে না।
কৃষি শ্রমিক আবুজার রহমান বলেন, বোর ধান রোপণ করছি ঠান্ডায় কাজ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কষ্ট হলেও কাজ করতে হচ্ছে একদিন কাজ না করলে খাব কী? আবার এনজিওর কিস্তি আছে।
ভ্যানচালক মোহাম্মদ রফিক বলেন, সকাল থেকে কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস। বাতাসের কারণে মানুষ রাস্তায় কম চলাচল করছে। এজন্য ভাড়া কম হচ্ছে পরিবার নিয়ে কষ্ট করে সংসার চালাতে হচ্ছে।
কৃষক মশিউর রহমান বলেন, কুয়াশা শীতল বাতাস সূর্য দেখা মিলছে এতে করে বোর ধানের বীজতলা ও আলু নিয়ে খুব টেনশনে আছি। ধানের বীজতলা, আলুর গাছ মরে যাচ্ছে কিটনাশক স্প্রে করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোমবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৮ ভাগ।
ইমরান আলী সোহাগ/আরকে