ঠাকুরগাঁও‌য়ে নিখোঁজের একমাস পর দুই মাদ্রাসাছাত্রীকে ঢাকার কাশিমপুর থানার সারদাগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় এরশাদ না‌মে এক ব্যক্তি‌কে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভুক্তভোগী ওই দুই ছাত্রী ঠাকুরগাঁও শহ‌রের গোয়ালপাড়া এলাকার জামিয়াতুল ইসলাহ আলা নাহজিস সাহাবিয়া (রা:) বালিকা মাদ্রাসার উর্দু জামাতের শিক্ষার্থী।

শ‌নিবার সন্ধ‌্যায় ঠাকুরগাঁও বিচা‌রিক আদাল‌তে তোলার পর ২২ ধারায় জবানব‌ন্দি শে‌ষে ওই দুই ছাত্রী‌কে আদালত প‌রিবা‌রের জিম্মায় দেন।

এর আগে গত বছ‌রের ১৩ ডি‌সেম্বর কাউকে কিছু না বলেই মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় ওই দুই ছাত্রী। তাদের পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে পরদিন ১৪ ডি‌সেম্বর সদর থানায় দুটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।

সদর থানা পুলিশের এসআই এহসানুল কবির জানান, থানায় মাদ্রাসার দুই ছাত্রী নিখোঁজের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি হয়। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে ঢাকার কাশিমপুর থানার সারদাগঞ্জ এলাকার একটি ফ্যামিলি মেস থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

তবে তারা কেন মাদ্রাসা থেকে সেখানে চলে গিয়েছিলেন এমন প্রশ্নে পু‌লি‌শের এই উপ-প‌রিদর্শক জানান, ওই ছাত্রীরা মূলত মাদ্রাসায় পড়‌তে আগ্রহী না থাকায় তারা পা‌লি‌য়ে যাওয়ার প‌রিকল্পনা ক‌রে। এরপর ঠাকুরগাঁও থে‌কে ঢাকায় ট্রেন‌যো‌গে যাওয়ার প‌রে স্টেশ‌নে ঘোরাঘু‌রি ক‌রার একপর্যা‌য়ে এরশাদ না‌মে একজ‌নের স‌ঙ্গে প‌রিচয় হয়। প‌রে এরশাদই তাঁ‌দের এক‌টি ফ্যামিলি মেসে থাকার ব‌্যবস্থা ক‌রে দেয়।

প্রযু‌ক্তির মাধ‌্যমে এরশাদ‌কে আট‌কের পর তার দেওয়া স্বীকা‌রো‌ক্তি‌র ভিত্তিতে ওই দুই ছাত্রী‌কে উদ্ধার করা হয়। ওই ছাত্রী‌দের বিষ‌য়ে তা‌দের প‌রিবার‌কে না জা‌নি‌য়ে এরশাশের অন‌্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল কিনা এ বিষয়‌টি তদন্ত করা হ‌চ্ছে। তার বিরু‌দ্ধেও আইনগত ব‌্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

গ্রেপ্তারকৃত এরশাদ রংপুর জেলার কাউ‌নিয়া থানার ম‌ফিজ উদ্দী‌নের ছে‌লে। তি‌নি পেশায় গাড়ির হেলপার ব‌লে জানিয়েছেন।

আরিফ হাসান/টিএম