নওগাঁয় অবৈধভাবে ধান-চাল মজুত করার অপরাধে জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিকসহ সাত মিল মালিককে বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনটি গোডাউন সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) জেলার সদর ও মহাদেবপুর উপজেলার পৃথক এলাকায় দিনব্যাপী মজুতবিরোধী অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল থেকে এ বিষয়ে জানানো হয়।

মিডিয়া সেল থেকে বলা হয়, ধান-চালের অবৈধ মজুত খুঁজতে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার সদর উপজেলা ও মহাদেবপুর উপজেলায় জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মজুতবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে নির্ধারিত সীমার চেয়ে অতিরিক্ত ধান-চাল মজুত রাখায় শহরের আনন্দনগর মহল্লার আর এম রাইস মিলের মালিককে  জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও তার তিনটি গোডাউন সিলগালা করা হয়। অবৈধভাবে চাল মজুতের অপরাধে শহর বাইপাস সড়ক সংলগ্ন তছিরন অটোমেটিক রাইস মিলের মালিক আনিসুর রহমানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ইচ্ছাকৃতভাবে ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে চাল মজুত রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপরাধে সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের মফিজ উদ্দিন অটোমেটিক রাইচ মিলের মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয় হাঁপানিয়া ইউনিয়নের তছিরন অটোমেটিক রাইস মিলের মালিককেও।

এছাড়া মহাদেবপুর উপজেলায় ৫টি চালকলে মজুত বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে এক মাসের বেশি সময় ধান সংরক্ষণ করায় নাহার আরমান অটোমেটিক রাইস মিলকে ৩০ হাজার টাকা, ১৫ দিনের বেশি সময় চাল সংরক্ষণ করায় শাপলা অটোমেটিক রাইস মিলকে ২০ হাজার টাকা এবং একই অপরাধে দাদা অটোমেটিক রাইস মিলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা জানান, অবৈধভাবে মজুতকৃত এসব ধান-চাল সঠিকভাবে খোলাবাজারে বিক্রি নিশ্চিত করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি), কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং একজন উপ পরিদর্শকের (এসআই) সমন্বয়ে টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি তদারকি করবেন। ধান-চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মজুতবিরোধী এই অভিযান চলমান থাকবে।

আরমান হোসেন রুমন/আরএআর