পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় একটি বাড়ির লোকজনের খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে চুরির ঘটনায় মূল-হোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে নিয়েছে পুলিশ। 

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। পরে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন, মূলহোতা মাসুদ রানা (২৯), সহযোগী আরসি ইসলাম রীতা (২৫) ও জাকির হোসেন (৩২)। 

মাসুদ রানা জেলার সদর উপজেলার জগদল গোয়ালপাড়া গ্রামের আব্দুল গাফফারের ছেলে, আরসি ইসলাম রীতা বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ী মুন্সিপাড়া গ্রামের আব্বাস আলীর মেয়ে ও অপর সহযোগী জাকির হোসেন তেঁতুলিয়ার ভজনপুর প্রধানগছ গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) তাদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত ১ জানুয়ারি গভীর রাতে উপজেলার চন্দনবাড়ী মুন্সিপাড়া গ্রামে রেজওয়ানুল করিম শুভ্র'র বাড়িতে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে চুরির ঘটনা ঘটে। বাড়ির লোকজনকে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন করে ঘরের আলমারীর ড্রয়ারে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার-চুরি করে নিয়ে যায়। 

ঘটনার পর ২ জানুয়ারি রেজওয়ানুল করিম শুভ্র বাদী হয়ে বোদা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে থানা হেফাজতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্য মতে আসামীদের হেফাজতে থাকা চোরাইকৃত এক জোড়া স্বর্ণের চুড়ি, একটি স্বর্ণের আংটি, নগদ ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থেকে থানায় মামলা করা হলে আমরা তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আসামীদের শনাক্ত করি। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করি। পরে কঠোর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা চুরি করার বিষয়টি স্বীকার করেন। শুক্রবার তাদেরকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তিনি বলেন, মাসুদ রানা ও জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে আরো অনেক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় আরো অনেক সদস্য জড়িত রয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এসকে দোয়েল/এমএসএ