নাটোরে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. বেলাল হোসেনকে (৪৯) দীর্ঘ ১৪ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। 

রোববার রাতে ঢাকার সাভার থানার এক নম্বর কলমা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামি বেলাল হোসেন নাটোর সদর উপজেলার উলিপুর গুচ্ছ গ্রামের মৃত জব্বার হোসেনের ছেলে।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে নাটোর র‌্যাব ক্যাম্পের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নাটোর র‌্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক সঞ্জয় কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১০ সালে নাটোর সদর উপজেলায় তেবাড়িয়া ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের নূর মোহাম্মদ মুন্সীর আম ও কলা বাগানের মধ্যে একজন অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় মরদেহের পাশে থাকা একটি ব্যাগ, এক নারীর ছবি ও একটি নোটবুক জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ মোছা. জেসমিন খাতুন (২৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করলেও অপর আসামি মো. বেলাল হোসেন পালিয়ে চলে যায়। 

সঞ্জয় কুমার জানান সদর থানার এসআই মো. নুরুজ্জামান এ ঘটনার তদন্ত করেন। তদন্তে জানা যায়, আসামি মোছা. জেসমিন খাতুন দেহ ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আসামি বেলাল হোসেন ও জেসমিন কথিত স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে বসবাস করতেন। আসামি বেলাল প্রায় সময় অজ্ঞাতনামা ওই নিহত নারীকে ধর্ষণ করতো। এ অপরাধ গোপন করার জন্য আসামি বেলাল হোসেন ও জেসমিন মিলে অজ্ঞাতনামা নারীকে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। 

সঞ্জয় কুমার আরও জানান, এ মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ট্রাইবুন্যাল বিচার শেষে আসামি বেলাল হোসেনকে যাবজ্জীবন সাজাসহ এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। পরবর্তীতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে রোববার রাতে ঢাকা জেলার সাভারের কলমা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গোলাম রাব্বানী/এমএসএ