নাটোরে গত চার দিন ধরে দেখা নেই সূর্যের। তীব্র শীতে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ পড়েছে বিপাকে। এর মধ্যেই সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে। ফলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। একদিকে তীব্র শীত অন্যদিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় কাজে ঘর থেকে বের হওয়া লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। 

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকালে নাটোরের তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে টানা চারদিনের এমন আবহাওয়ার কারণে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। যেখানে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী দিয়ে ভরপুর। শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি।

নাটোর শহরে রবিউল ইসলাম নামে এক পথচারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, কয়েকদিনের তীব্র শীতের দাপটে এমনিতেই আমাদের অবস্থা খারাপ। সকাল থেকে শুরু হয়েছে আবার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এর কারণে ঠান্ডা যেন আরও বেশি লাগছে।

অটোরিকশা চালক নজরুল ইসলাম বলেন,‌ এই শীতে এমনিতেই মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে কম‌। আবার শুরু হইছে মেঘ-বৃষ্টি। এখন তো মানুষ বাইরেই আইবো না।

সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, প্রচুর ঠান্ডার কারণে এমনিতেই জমিতে যেতে পারি না, ফসলের পরিচর্যা করতে পারছি না। তার ওপর এ বৃষ্টি যদি বেড়ে যায় তাহলে তো ক্ষেতের ফসলের খুব ক্ষতি হবে।

নাটোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নীলিমা জাহান বলেন, অতিরিক্ত শীতে বর্তমানে মাঠে থাকা ফল- ফসলের অল্প ক্ষতি হলেও গুঁড়ি গুঁড়ি এই বৃষ্টির পরিমাণ যদি বেড়ে যায় তাহলে ফল-ফসলের বড় ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। 

এমন আবহাওয়ায় শিশু ও বৃদ্ধদের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিনা সাত্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, অসহায় গরিব শীতার্ত মানুষদের জন্য সদর উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে সরকারি কম্বল পৌঁছে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে সেগুলো বিতরণ শুরু হয়েছে।

গোলাম রাব্বানী/আরএআর