‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে থানায় নিয়েছে পুলিশ।

রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে রফিকুল ইসলামকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে মহানগরীর গাছা থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রফিকুল ইসলাম মাদানী নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার লেটিরকান্দা গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এর সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‌শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গাছা থানার একটি মামলায় দুপুর দেড়টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে পুলিশ।

গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার রফিকুল ইসলাম মাদানীর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। বৃহস্পতিবার শিশু বক্তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। রফিকুল ইসলাম মাদানীর জব্দ করা মোবাইল ফোনে আপত্তিকর ও অশ্লীল পর্নোগ্রাফি পেয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। মাদানীর মোবাইল ফোনটি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এসব পর্নোগ্রাফির সন্ধান পান। তার বিরুদ্ধে আগে দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার সঙ্গে পর্নোগ্রাফি আইনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে তাকে এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

৮ এপ্রিল নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটকের পর গাছা থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল জব্দ করা হয়। এরপর থেকে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একই আইনে গাজীপুরের বাসন থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে।

শিহাব খান/এএম