দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাভারে পরাজিত আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. এনামুর রহমানের সমর্থক ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহতের ঘটনায় উভয় পক্ষের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত চারজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রাতে উভয় পক্ষ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদের সমর্থক, সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম ও মো. ফারুক হোসেন এবং ডা. এনামুর রহমানের সমর্থক মো. সাঈম ও সম্পদ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারি কাতলাপুর কেন্দ্রের ফলাফলে কিছু ভোটে এগিয়ে যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ। এতে করে ওই কেন্দ্রের ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা চড়াও হয় নৌকার সমর্থকদের ওপর। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে থানায় খবর দিলে উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেলের ওপর মীমাংসার দায়িত্ব পড়ে। পরে এসআই রাসেল স্থানীয় হালিমের ওপর মীমাংসার দায়িত্ব দিলে গতকাল বুধবার হালিমের অফিসে যান উভয় পক্ষের সমর্থকরা। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঈগলের সমর্থকরা হামলা চালায়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হন। আহতরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতরা হলেন- তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদের সমর্থক মো. হৃদয়, পান্না ও সাগর। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী ডা. এনামুর রহমানের সমর্থক ইকবাল হোসেন সম্পদ, সিফাত, সায়মন, সাগর ও সাভার পৌর আওয়ামী লীগের ৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন। বাকিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুল ইসলাম রাসেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলা দায়ের করেছে। দুই মামলায় উভয় পক্ষের চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মাহিদুল মাহিদ/এমজেইউ