গাজীপুরের টঙ্গীতে আসমা আক্তার (৩৫) নামে এক নারীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ মুদাফা বাগবাড়ি এলাকা থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী আমিনুল ইসলামকে (৪২) পাওয়া যাচ্ছে না।

নিহত আসমা আক্তার নেত্রকোণার কলমাকান্দা থানার গান্দরগান্দা গ্রামের মো. ইমান আলীর মেয়ে। পলাতক স্বামী আমিনুল ইসলাম একই থানার সাউথপাড়া গ্রামের পানজোর আলীর ছেলে। তারা মুদাফা বাগবাড়ি এলাকার হযরত আলীর বাড়িতে এক কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাতে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী আমিনুলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আসমার। পরে ভোরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পালিয়ে যান আমিনুল। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। 

নিহতের স্বজন হালিমা খাতুন জানান, আমিনুল ইসলাম সম্প্রতি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। মঙ্গলবার কারখানা থেকে বেতন পান আসমা আক্তার। রাতে বেতনের টাকা নিয়ে আসমার সঙ্গে ঝগড়া হয়। সকালে স্বামী আমিনুলের বড় বোন আলেহা আক্তার তাদের ভাড়া ঘরে গিয়ে আসমাকে বিছানার ওপর নিথর অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।

টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নিহত আসমার স্বামী আমিনুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

শিহাব খান/আরএআর