দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোণা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে বিজয়ী ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু এলাকাবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, ভোট দিয়ে বিজয়ী করে আপনারা আমাকে পাঁচ বছরের জন্য চাকর নিযুক্ত করেছেন। তাই আমাকে আপনারা এমপি হিসেবে বড় মনে করবেন না। আপনাদের চাকর মনে করবেন। যে কোনো বিষয় আমাকে বলবেন। এমপির কাছে আসতে হবে না, সেবা নিয়ে এমপি নিজেই জনগণের বাড়িতে যাবে। 

মঙ্গলবার (৯ জানিয়ারি) বিকেলে আটপাড়া উপজেলা সদরে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু আরও বলেন, আমি একজন বড় মাপের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতার (অসীম কুমার উকিল) সাথে লড়াই করেছি। আমি একজন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এতোটা দুর্বল না যে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারব না। তারা (পরাজিত প্রার্থীর লোকজন) আমার লোকজনের ওপর হামলা করবে, আমার লোকজনকে হত্যা করবে- তাদের এ রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।

এ সময় কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আওয়ামী লীগ নেত্রী সালমা আক্তার, কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা বেগম সুমীসহ আটপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অসীম কুমার উকিলের কর্মী সমর্থকদের হামলায় নিহত ট্রাক প্রতীকের কর্মী নুরুল আমিনের পরিবারের খোঁজখবর নিতে আটপাড়া উপজেলার লুনেশ্বর ইউনিয়নের দেওগাঁও গ্রামের বাড়িতে যান। নুরুল আমিন দেওগাঁও গ্রামের কাজিম উদ্দিনের ছেলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ জানুয়ারি রাতে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু বিজয়ী হওয়ার খবর শুনে তার কর্মী সমর্থকরা রাত ১০টার দিকে দেওগাঁও গ্রামে আনন্দ মিছিল বের করেন। ওই মিছিলে নৌকার সমর্থকরা হামলা করলে নুরুল আমিনসহ তিনজন আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নুরুল আমিনকে ভর্তি করা হলে ৮ জানুয়ারি বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

আরএআর