শরীয়তপুরে আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুরসহ ৩ ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর
শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরসহ তিন ছাত্রলীগের নেতাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে অপর এক ছাত্রলীগ নেতাসহ তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
আহতরা হলেন- ভেদরগঞ্জের সরকারি এমএ রেজা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ আবু জাফর আশিক (২৯), সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা সুমন মুন্সী(২৭) ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোরসালিন হাওলাদার (২১)।
ছাত্রলীগের দুই পক্ষের বিরোধে এই হামলা হয়েছে বলে দাবি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের।
উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত মাদবরের সঙ্গে সরকারি এমএ রেজা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের বিরোধ চলছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ আবু জাফর আশিক, সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা সুমন মুন্সী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোরসালিন হাওলাদার ভেদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় প্রান্ত মাদবরের নেতৃত্বে আসিফ শিকদার, সাদ্দাম শিকদার, শুভ ব্যাপারীসহ ১৫-২০ জন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ওই তিন ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করেন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহত শাহজাদা সুমন মুন্সী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ৪ জানুয়ারি এমএ রেজা কলেজে দুই ব্যক্তি নির্বাচনবিরোধী প্রচারপত্র বিলি করলে আমরা তাদের আটক করি। ছাত্রলীগ নেতা প্রান্ত মাদবর তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি আমরা আওয়ামী লীগ নেতাদের জানাই। এরপর থেকে তিনি ক্ষুব্ধ। গতকাল নির্বাচনের ফলাফল জানার পর আমরা কয়েকজন আওয়ামী লীগের অফিসে বসেছিলাম। এ সময় প্রান্ত মাদবর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেন। আমাদের তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেন। নেত্রীর ছবিসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৈয়দ আবু জাফর আশিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রান্ত মাদবর তার দলবল নিয়ে আমাদেরকে পিটিয়ে আহত করেছে। আওয়ামী লীগ অফিসের আশপাশে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই পুলিশ ঘটনার সত্যতা জানতে পারবে। আমি অসুস্থ বলে হাসপাতালে আছি। আমার ভাইয়ের মাধ্যমে প্রান্ত মাদবরসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখিত একটি মামলার এজাহার থানায় পাঠিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রান্ত মাদবরের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান হাওলাদার বলেন, এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কেউ হামলা করার সাহস দেখায়নি। এবার যারা হামলার দুঃসাহস দেখিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু মন্ডল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের বিরোধের জেরে একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের কিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা হওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাইফ রুদাদ/এমজেইউ