দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৪ আসনে বিশাল জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হক বাবুল।

রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে বেসরকারি ফলাফলে নৌকার মাঝিকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

অভয়নগর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম হাবিবুর রহমান জানান, যশোর-৪ আসনে এনামুল হক বাবুল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এই আসনে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হয়েছে।

যশোর-৪ আসনে ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৮৩৮ ভোটের মধ্যে এনামুল হক বাবুল পেয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৬৭৮টি ভোট। মোট গৃহীত ভোট ১ লাখ ৯৮ হাজার ৫৬৯টি, যা মোট ভোটের ৪৬ শতাংশ। গৃহীত ভোটের ৪২ শতাংশ পেয়ে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন এনামুল হক বাবুল। ১০ হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের অ্যাডভোকেট জহুরুল হক। মোট ছয়জন প্রার্থী লড়েছেন এই আসনে। এনামুল হক বাবুল ছাড়া অন্য পাঁচজন মিলে মাত্র ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

এনামুল হক বাবুলের এই জয়ে যশোর-৪ আসনের নির্বাচনী এলাকা অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলা এবং সদরের একাংশ বসুন্দিয়া ইউনিয়নে আনন্দের জোয়ার বইছে। অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভোটের ফলাফল এসে পৌঁছলে আনন্দে ফেটে পড়েন এনামুল হক বাবুলের পাশে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনা সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষিরা।

এ সময় এনামুল হক বাবুল বলেন, নৌকার এই জয় জনগণের, এই জয় আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার। তাকে এই জয় উৎসর্গ করছি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে কথা দিয়েছিলাম আমাকে প্রার্থী করলে ভোটাররা কেন্দ্রে আসবেন, ভোট দেবেন। সেই কথা আজ বাস্তব হয়েছে। সারা দিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসবমুখর ভোটগ্রহণ হয়েছে। পর্যবেক্ষক, গণমাধ্যম তা দেখেছে। যারা আমাকে ভোট থেকে সরিয়ে দিতে অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিলেন, তারা উচিত জবাব পেয়ে গেছেন; এই আমার সান্ত্বনা। এখন সবাইকে নিয়ে নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন করার পালা। জনগণের সেবক হয়েই আগামী দিনগুলো কাটাতে চাই। এই যাত্রায় সবার দোয়া, ভালোবাসা ও আশীর্বাদ চাই।

তিনি বিশেষভাবে তরুণ ভোটাদের ধন্যবাদ জানান।

প্রচারপর্ব থেকে শুরু করে গতকাল ভোটের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা এনামুল হক বাবুলের সঙ্গে ছিলেন। তাদের নিয়েই আগামীর পথ চলতে চান এনামুল হক বাবুল। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলা এবং বসুন্দিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

এমজেইউ