পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম, বরিশালে ভোটের আমেজ
রাত পোহালেই বহুল আলোচনার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নির্বাচন কমিশন ও সরকারের যৌথ পরীক্ষার এই নির্বাচনে সমালোচনা থাকলেও সকল বাধা পার করে অবশেষে রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হতে যাচ্ছে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বিগত সময়ে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হলেও এবার ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত হওয়ায় অনেকটা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে কমিশন।
নির্বাচনের অংশ হিসেবে বরিশাল জেলায়ও ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণের সরঞ্জামাদি বিতরণ করা হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসারদের দায়িত্বে শনিবার দিনভর সরঞ্জাম হস্তান্তর করা হয়।
বিজ্ঞাপন
নিজ নিজ উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বুঝে নিয়েছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা। সেগুলোকে নিরাপত্তা দিয়ে আনসার ও পুলিশ সদস্যরা কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছেন।
নির্বাচনের দিন সকাল থেকে জেলার সবগুলো সংসদীয় আসনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসারের সদস্যদের টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ভোটের দিন গোটা বরিশাল জেলা নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়েছে। দুর্গম কেন্দ্র ব্যতীত সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পৌঁছে দেওয়া হবে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলায় পুরো নির্বাচনী নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। বরিশাল জেলায় ১৭ প্লাটুন বিজিবি, ১০ প্লাটুন সেনাবাহিনীর সদস্য ও সদরে একটি কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
জানা গেছে, ৬টি আসনে নির্বাচনের মাঠে মোট ৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। যার মধ্যে জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস দুটি আসন থেকে এবং বরিশাল-২ আসনে মনিরুল ইসলাম নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও মনিরুল ইসলাম সরে গিয়ে নৌকাকে সমর্থন দিয়েছেন।
অপরদিকে জেলায় মোট ২১ লাখ ৩২ হাজার ৭৪ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৩২৪ জন, নারী ভোটার ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪৪ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৯ জন। যারা ৮২৭টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
৪৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন পুলিশ, আনসার, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশের সদস্যরা। যার মধ্যে প্রতি আসনে র্যাবের ২টি করে ১২টি টহল টিম, মেট্রোপলিটন এলাকায় বিএমপি পুলিশের ১ হাজার ২৮০ জন সদস্য এবং জেলায় জেলা পুলিশের ২ হাজার ১৭৩ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।
এ ছাড়া ১০ হাজার ৯২ জন আনসার সদস্যের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে ৯ হাজার ৯২৪ জন, সেনাবাহিনীর ৬০৮ জন, বিজিবির ১৭ প্লাটুন, কোস্টগার্ডের ১৫৯ জন নিয়োজিত রয়েছেন। যার মধ্যে কোস্টগার্ড নদীবেষ্টিত হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জের ১০টি ইউনিয়নে কাজ করবে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/পিএইচ