ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ/ সংগৃহীত

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদসহ জেলা আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আলী আজগর ফেসবুকে তার আইডিতে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যাদের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তারা হলেন— জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী মাসুদ, কোষাধ্যক্ষ যশোদা জীবন দেবনাথ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুবল চন্দ্র সাহা, মনিরুল হাসান, আবুল বাতিন ও শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য একে আজাদ, খলিফা কামাল উদ্দিন ও শাহ আলম মুকুল।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাজারো উন্নয়ন বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে আজ বহুল প্রশংসিত। এসব বাস্তবমুখী উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি কর্তৃক ঘোষিত ফরিদপুর-৩ সংসদীয় আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করায় এবং বিপক্ষ প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও জননেত্রীর স্থানীয় নির্বাচনী জনসভায় আপনাদের অনুপস্থিতি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের শামিল। যা দলীয় আদর্শ, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, গঠনতন্ত্র ও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ পরিপন্থী। সংগঠনের দলীয় গঠনতন্ত্রের ৪৭ (১) এবং ৪৭ (১১) ধারা অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে আপনাদেকে দলীয় স্ব-স্ব পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। 

দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী মাসুদ বলেন, যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তারা সবাই জেলা আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা। সেই নেতাদের বহিষ্কারের কোনো এখতিয়ার জেলা কমিটির সভাপতি বা সম্পাদক রাখেন না। তারা বড়জোর আমাদের বহিষ্কারের সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠাতে পারেন।

শেখ হাসিনার জনসভায় উপস্থিত না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ওই সভায় আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাছাড়া নেত্রী এবার নির্বাচন উন্মুক্ত করেছেন বলেই আমরা আওয়ামী লীগ নেতা এ কে আজাদের নির্বাচন করছি।

জহির হোসেন/আরএআর