হেফাজত তাণ্ডবের আসামি ছাড়ালেন আ. লীগ নেত্রী!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোসনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব মামলার এক আসামিকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জোসনার নিজ দলের পক্ষ থেকেই এ অভিযোগ তোলা হয়েছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত আবেদনও করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আবেদনকারী আবুল বাশার আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আবেদনের অনুলিপি আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক এবং জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকেও দেওয়া হয়েছে।
আবেদন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে তাণ্ডব চালানোর জন্য আশুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ তারুয়া গ্রামের বিএনপি সমর্থক দুলাল মিয়া লোক সরবরাহ করেন। বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অবগত আছেন। এর প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার দুলালকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আবেদনে আরও বলা হয়, জোসনা চৌধুরী দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দুলালকে আওয়ামী পরিবারের সদস্য প্রত্যয়ন দিয়ে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনেন। যা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জন্য লজ্জাজনক। তিনি স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকদের আওয়ামী লীগে একে একে অনুপ্রবেশ করান। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে বিভক্ত করার জন্য নিজেই একটি গ্রুপ তৈরি করেন জোসনা।
অভিযোগকারী শরীফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার বলেন, আওয়ামী লীগের নেত্রী হয়ে জোসনার এমন কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সেজন্য লিখিত অভিযোগ করেছি। দেখি কী হয়।
তবে আশুগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোসনা চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের দুইটি গ্রুপ। যারা আমাদের সঙ্গে চলাফেরা করছে-তাদেরকে বিএনপির তালিকায় নাম দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। দুলালের বাবা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ করেন। পুলিশ যাচাই-বাছাই করে তারপর তাকে ছেড়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, আশুগঞ্জে আমি কথা বলেছি। এগুলো স্থানীয় অভিযোগ। এরা একজন আরেকজনের প্রতিপক্ষ। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হবে।
আজিজুল সঞ্চয়/এমএএস