কুমিল্লা-১ আসন
প্রচারণায় এগিয়ে সবুর, পিছিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী
কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুরের প্রচার প্রচারণা চলছে পুরোদমে। দলীয় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের বেশ সমর্থন পাচ্ছেন। অপরদিকে অনেকটাই কোণঠাসা
হয়ে পড়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার নাঈম হাসান।
সারাদেশে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বেশ প্রচার প্রচারণা চোখে পড়ার মত হলেও ব্যারিস্টার নাঈম হাসানের প্রচার প্রচারণা নেই বললেই চলে। এতে অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীরা। সরেজমিনে কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনে ঘুরে এই চিত্র উঠে এসেছে।
বিজ্ঞাপন
গত এক সপ্তাহের প্রার্থীদের কর্মক্রম বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দাউদকান্দি-তিতাসের নৌকার মাঝি ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর প্রতিদিন সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের, ওয়ার্ড, হাটবাজার এমনকি গ্রামে গ্রামে গিয়েও সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে নৌকায় ভোট চাচ্ছেন। একই সঙ্গে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। যার মধ্যে রয়েছে, দাউদকান্দি-তিতাসে মেডিকেল কলেজ স্থাপন, পলিটেকনিক্যাল কলেজ স্থাপন, আইটি ইনকিউবেটর সেন্টারসহ রাস্তাঘাট, ব্রিজ নির্মাণ।
অপর দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাঈম হাসানের তেমন প্রচার প্রচারণা নেই। মাঝে মধ্যে দুই-একটা কর্মসূচি দেখা গেলেও তেমন কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারছেন না এই প্রার্থী। যার ফলে অনেকটাই হতাশ ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা।
দাউদকান্দি-তিতাসের একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নৌকার প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর দীর্ঘ দিন ঘরের নানান কর্মসূচিসহ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যেহেতু তিনি ইঞ্জিনিয়ার একই সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারদের নেতা তাই সংসদ সদস্য না হয়েও তার উন্নয়ন কাজ করতে কোনো বেগ পেতে হয় না। এখন তিনি যদি এই আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাহলে উন্নয়ন কাজ করতে পারবেন কোনো বাধা ছাড়াই। এছাড়া এলাকায় তিনি সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। অপরদিকে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচনের আগে এলাকায় তেমন আসতেন না। তিনি পরিবার নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। রাজনীতিতেও কোনো সময় দিতেন না। এমন কি গত একাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় এলাকায় কোন কাজ না করে বিদেশে অবস্থান করছিলেন। এই প্রার্থীর এলাকায় তেমন পরিচিতিও নেই। যার ফলে এই প্রার্থী যদি কোনোভাবে নির্বাচিত হয় তাহলে এই এলাকার কোনো উন্নয়ন কার্যক্রমই হবে না বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।
ষাটোর্ধ্ব বয়সের ভোটার মো. আহসান উল্লাহ বলেন, ইঞ্জিনিয়ার সাহেব খুব ভালো মানুষ। তিনি এলাকার উন্নয়নে কাজ করছেন। এখন তিনি এমপি হলে আমাদের এলাকার আরও বেশি উন্নয়ন হবে। আমরা ইঞ্জিনিয়ার সাহেবকেই এমপি হিসেবে চাই। আর অন্য কোন প্রার্থী এলাকায় অনেক মানুষ চিনে না।
তরুণ ভোটার আক্তার হোসেন বলেন, আমার প্রথম ভোট উন্নয়নের পক্ষে, শান্তি পক্ষে, মুক্তিযোদ্ধের পক্ষেই দিতে চাই। আর কুমিল্লা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী যদি নির্বাচিত হন তাহলে এই এলাকা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতি মুক্ত হবে বলে আশা করি।
দাউদকান্দি-তিতাস আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, উন্নত দাউদকান্দি, উন্নত তিতাস, নিরাপদ দাউদকান্দি, নিরাপদ তিতাস, শান্তির দাউদকান্দি, শান্তির তিতাস গড়তে চাই। আমি একজন প্রকৌশলী হিসেবে, একজন পরিকল্পনাবিদ হিসেবে, একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আমি জানি কিভাবে এই এলাকার উন্নয়ন করতে হবে। আমি নির্বাচিত হলে দাউদকান্দি-তিতাসে মেডিকেল কলেজ, পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, আইটি ইনকিউবিউটর সেন্টারস স্থাপনসহ আরও অনেক উন্নয়ন কাজ করার পরিকল্পনা করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমি প্রতিটি একাকায় ঘুরেছি। মানুষের কাছে গিয়েছি। আমি যেখানেই গিয়েছি সেখানেই মানুষের ঢল নেমেছে। এক একটি পথ সভা এক একটি জনসভায় রুপ নিয়েছে। মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে মুগ্ধ হয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য উম্মুখ হয়েছে আছে। আমি আশাবাদী আগামী ৭ তারিখ দাউদকান্দি-তিতাস থেকে সর্বোচ্চ ভোট দিয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই আসনটি উপহার দেব।
আরিফ আজগর/আরকে