বগুড়া-১ আসন
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে মারধর, উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমানের এক সমর্থককে মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার (১ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা থেকে র্যাবের একটি গোয়েন্দা দল তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ভোরে তাদের বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তার হওয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটন সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাহদারা মান্নানের ভাই।
গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলেন- মো. লিমন (৩২), মো. রায়হান (২৮), মো. রানা (২৬), মো. রাজন (৩৫) ও নিপুন (২৮)। তারা সবাই সোনাতলার জোড়গাছা এলাকার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাতে র্যাব সূত্র জানায়, রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে ওই আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থক রেজওয়ানুল রিজভীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে রিজভী ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পরই সোনাতলার জোড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনকে আটক করে পুলিশ।
পরে আহত রেজওয়ানুল রিজভীর স্ত্রী নাহিদ নাসরিন সাথী বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামন লিটন ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিনসহ ৭ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আগাম জামিন নেওয়ার উদ্দেশ্যে গোপনে সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান লিটন ও অন্যরা ঢাকায় যাচ্ছিলেন।
বগুড়া র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা বগুড়া থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। গোপন তথ্যের র্যাব-১২ হেডকোয়ার্টার্সের একটি গোয়েন্দা দল বঙ্গবন্ধু সেতুর আগে মহাসড়ক থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে তাদেরকে ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বগুড়ার ডিবি পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান বলেন, ভোরে তাদের হস্তান্তর করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া মেনে তাদের আদালতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আসাফ-উদ-দৌলা নিওন/এমজেইউ