শংকর পাল

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন হবিগঞ্জ-২ আসনে (বানিয়াচং-আজমিরিগঞ্জ) জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পাল। সোমবার (১ জানুয়ারি) তিনি এ ঘোষণা দেন। তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

শংকর পাল বলেন, নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব রয়েছে। আছে ক্ষমতাসীনদের পেশিশক্তির প্রভাব। দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে সংঘর্ষ-সংঘাত চলছে তাতে নিজের ও সমর্থকদের জানমাল রক্ষা করা কঠিন। তাই বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জে প্রচারণা থেকে বিরত রয়েছি। ইতোমধ্যে সমর্থকদের লাঙল ছাড়া তাদের পছন্দের যে কোনো প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন বলে তিনি জানান।

জাতীয় পার্টির এই নেতা আরও বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ ও তার গড়া জাতীয় পার্টিকে ভালোবাসি বলে এখনো দল করি। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থিত পোস্টার ছাপিয়ে ভোট চাওয়ার লোক আমি নই। তাহলে দলের অবস্থান কোথায় থাকলো? আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোট পাওয়া যাবে না। 

তিনি বলেন, গত নির্বাচনে আমার এজেন্টকে নানাভাবে নাজেহাল করা হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই দোকান থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এর জবাব আজও পাইনি। এবারের  নির্বাচনেও যে তা হবে না এর নিশ্চিয়তা  কোথায়? 

শংকর পাল বলেন, সম্প্রতি হবিগঞ্জে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেছি- নির্বাচন করতে প্রার্থী হইনি। সাক্ষী হয়ে দেখতে চাই আপনারা কতটুকু সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করছেন। যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। 

এই আসনে বর্তমানে মোট ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের (নৌকা) ময়েজ উদ্দিন শরীফ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের (গামছা) মনমোহন দেবনাথ, ইসলামী ঐক্যজোটের (মিনার) শেখ হিফজুর রহমান, জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (নোঙ্গর) সোহাগ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের (চেয়ার) মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ, তৃণমূল বিএনপির (সোনালী আঁশ) খায়রুল আলম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের (ডাব) জিয়াউর রশীদ ও স্বতন্ত্র (ঈগল) আব্দুল মজিদ খান। 

আজহারুল মুরাদ/আরএআর