আইন অমান্য করে বসে গবাদিপশুর হাট

আইন অমান্য ও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই চলছিল ঠাকুরগাঁওয়ে গবাদিপশুর হাট। তবে দুই ঘণ্টার মাথায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) গাড়ি দেখেই পালিয়ে গেলেন পশুর হাটে উপস্থিত সবাই। মুহূর্তেই মাঠ যেন মানুষশূন্যে পরিণত হয়।

এ সময় আইন অমান্য করে পশুর হাট পরিচালনা করায় ইজারাদার উত্তম কুমার রায়কে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

শনিবার(১৭ এপ্রিল) সদর উপজেলার জগন্নাথপুরের খোঁচাবাড়ি হাটে গেলে এমন চিত্র চোখে পড়ে। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ইউএনওর গাড়ি দেখেই পালিয়ে গেলেন পশুর হাটে উপস্থিত লোকজন

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে জগন্নাথপুর খোঁচাবাড়ি হাটে সকাল থেকে কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ও আইন অমান্য করে শতাধিক লোক গাদাগাদি করেই গবাদিপশুর হাটে বেচাকেনা চলছে।

এ সময় বেশিরভাগ ক্রেতা ও বিক্রেতার মুখে যেন ছিল না মাস্ক। হঠাৎ দুপুরে ইউএনও অভিযানে দুই ঘণ্টার মাথায় বন্ধ হয়ে যায় পশুর হাটটি। পালিয়ে যান হাটে উপস্থিত থাকা সবাই।

ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দিন দিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সে অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জেলায় সব হাট বন্ধ থাকবে। এরপরে আইন অমান্য করে আজ খোঁচাবাড়ির হাটটি পরিচালনা করা হয়। অভিযান চালিয়ে হাটটি বন্ধ করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, এ সময় হাটের ইজারাদার উত্তম কুমার রায়কে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যতদিন ধরে লকডাউন চলবে, ততদিন জেলায় কোনো হাট বসানো হবে না। কারণ এখানে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

নাহিদ রেজা/এমএসআর