‘একাধিক সম্পর্কে জড়িত’ থাকায় প্রেমিকাকে হত্যা, মরদেহ মিলল বাথরুমে
গাজীপুর সদর উপজেলায় প্রেমিকাকে হত্যার সাতদিন পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে এক যুবক। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাথরুম থেকে প্রেমিকার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মনিপুর বাজার এলাকায় প্রেমিক মিরাজের বাড়ি থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
নিহত মারিয়া আক্তার ঝর্ণা (১৯) গাজীপুর সদর উপজেলার বিকেবাড়ী তালতলী এলাকার মুকুল হোসেনের মেয়ে। আটক প্রেমিক মিরাজ মির্জাপুর ইউনিয়নের মনিপুর বাজার এলাকার স্থানীয় মজিবুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝর্ণার সাথে মিরাজের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে করবে বলে ঝর্ণা মিরাজকে কথা দিয়েছিল। পরবর্তীতে মিরাজ জানতে পারে— ঝর্ণার সঙ্গে একাধিক ছেলের সম্পর্ক রয়েছে। মিরাজ বিষয়টি ঝর্ণাকে জানালে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ঝর্ণাকে হত্যার পরিকল্পনা করে মিরাজ। এরপর গত ২৪ ডিসেম্বর মিরাজ নিজ ঘরে ঝর্ণাকে নিয়ে হত্যা করে। পরে মরদেহ বাথরুমে লুকিয়ে রাখে।
জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম জানান, দুপুরের পর থেকেই মিরাজ থানার সামনে অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীনভাবে ঘুরাঘুরি করছিল। তার ঘুরাঘুরি সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে থানার ভেতরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে সে তার প্রেমিকা ঝর্ণাকে খুন করার কথা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ মিরাজের ঘরের ভেতরের বাথরুম থেকে ঝর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জয়দেবপুর থানার ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, ঝর্ণাকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ বাথরুমে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। এ ঘটনায় প্রেমিক মিরাজকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শিহাব খান/এমজে