অভিযুক্ত মিরাজুল ইসলাম মিরাজ

পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া কাউখালী নেছারাবাদ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মেয়ে দৈনিক ইত্তেফাকের প্রকাশক তারিন হোসেনকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ উঠেছে ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম মিরাজের বিরুদ্ধে। তিনি আচরণবিধি ভঙ্গ করে নির্বাচনী প্রচারণায় নৌকার প্রার্থীর মেয়েকে নিয়ে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। 

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) মিরাজের শাস্তি চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আবেদন করেছেন তারিন হোসেন। 

অভিযুক্ত মিরাজুল ইসলাম মিরাজ পিরোজপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দীন মহারাজের ভাই ও ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান।

আবেদনে তারিন হোসেন বলেন, আমি পিরোজপুর-২ আসনের একজন ভোটার। আমার দাদা তোফাজ্জল হোসেন (মানিক মিয়া) দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমানে আমি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমার বাবা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-২ (কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও নেছারাবাদ উপজেলা) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। নির্বাচনে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ধন্দিতা করছেন মহিউদ্দীন মহারাজ। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, মহিউদ্দীন মহারাজের নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে গত ২৪ ডিসেম্বর এক নির্বাচনী জনসভায় তার উপস্থিতিতে তার ভাই ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম মিরাজ আমাকে ঘিরে অত্যন্ত আপত্তিকর, কুরুচিপূর্ণ, অশালীন, মিথ্যা, বানোয়াট, বেআইনি, মানহানিকর বক্তব্য দেন। তার ওই বক্তব্য সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ (সর্বশেষ সংশোধিত ২০২৩) এর লঙ্ঘন।

অভিযুক্ত মিরাজের বক্তব্যের কিছু অংশ তুলে ধরে তিনি বলেন, তার বক্তব্য বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুসারে ফৌজদারি অপরাধও বটে। এ ধরনের অশালীন বক্তব্যের কারণে আমি আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, পিরোজপুর-২ আসনের ভোটার এবং এলাকাবাসীর কাছে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এ ধরনের অভিযোগ নজরে এসেছে। তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএআর