ভার্চুয়াল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে সবাই যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে তাই এবারের নির্বাচন সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় হতে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বান্দরবান জেলার ঐতিহাসিক রাজার মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত জাতীয় নির্বাচনগুলোতে যেমন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যক আসনে বিজয় সুনিশ্চিত করে। এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত এখনও বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচন বানচালে বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ প্রতিহত করে আওয়ামী লীগ সরকারের পাশে আছে এবং আগামীতেও থাকবে।
তিনি উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি জনগণ প্রমাণ করবে আগামী দিনের উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নাই।
ভিডিও কনফারেন্সের জনসভায় বান্দরবান ৩০০নং আসনের প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭ম বারের মতো বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে নৌকা উপহার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে পার্বত্য বান্দরবানের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান
জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, সাধারণ সম্পাদক লক্ষী পদ দাশ, সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুর রহমানসহ জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং কর্মী সমর্থক বৃন্দ।
সমাবেশে বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভা হতে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষ জনসভায় অংশগ্রহণ করেন।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য বান্দরবানে এবারের নতুন ভোটারদের কথা শোনেন এবং বাঙালিসহ ১২টি জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
মো. শহীদুল ইসলাম/এএএ