কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে গত কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিক সহিংসতা ও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ ও নৌকার লোকজন নেতাকর্মীদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এতে ভোটাররা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ধারাবাহিক হামলায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মুন্সীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭/৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনে অন্তত ৮টি অভিযোগ করার পরও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এতে এ আসনে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। 

গতকাল দুপুরে ওই আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ টিটু চান্দিনায় তার নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নৌকার প্রার্থী ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত ও তার অনুসারী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন। এ সময় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশন ও জেলা রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানান তিনি। 

টিটু অভিযোগ করেন, চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তার ঈগল প্রতীকের সাথে আছে। এখানে দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সঙ্গে নেই। এতে নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত ও তার অনুসারীরা ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধমকিসহ সহিংসতা করছে। এছাড়া বহিরাগত সন্ত্রাসীদের জড়ো করে কেন্দ্র দখলের পরিকল্পনাসহ ৫টি মাইক্রোবাস ও ১০/১৫টি মোটর সাইকেলযোগে এলাকায় বিপজ্জনক মহড়া দিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে ভোটের পরিবেশ বিনষ্ট করছে।  এমন অভিযোগ করেছেন কুমিল্লার এক স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার নেতাকর্মীরা। 

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহাদাৎ হোসেন মজুমদার, যুগ্ম সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মাস্টার, ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, ইমন হোসেন সরকার, হারুন অর রশিদ, অহিদুর রহমানসহ দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের তার অনুসারী বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে উপজেলা সদরে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনতাকিম আশরাফ টিটুর আনীত এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। এ আসনে তিনিও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান। পুলিশ কর্তৃক হয়রানীর বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে জানান। 

আরিফ আজগর/এনএফ