ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আব্দুর রহমান জনক নামে এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মামুদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ কে আজাদের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুন্নু মোল্লা বলেন, প্রতিদিনের মতো প্রচারণা শেষে আজও আমরা নির্বাচনী ক্যাম্পে বসে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। এমন সময় পৌরসভার কাউন্সিলর মোবারক খলিফা ও আতিয়ার শেখের নেতৃত্বে শতাধিক মানুষ নৌকার স্লোগান দিয়ে আমাদের অফিসে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা আমাদের অফিসের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা রামদা দিয়ে ঈগল মার্কার কর্মী আব্দুর রহমান জনকের মাথায় আঘাত করে। তখনই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার মাথায় আটটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

আহত আব্দুর রহমানের স্ত্রী পারভিন বলেন, নৌকার সন্ত্রাসীরা রামদা দিয়ে তার মাথায় কোপ দিয়েছে। সে বাঁচবে কি না জানি না। আমি এই সন্ত্রাসী হামলার বিচার চাই। ঈগল প্রতীকের সমর্থক হলেই কি তাকে এভাবে কোপাতে হবে?

এ ঘটনার প্রতিবাদে রাত আটটার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ এলাকায় এ কে আজাদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল করে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

মুঠোফোন না ধরায় এ ব্যাপারে কাউন্সিলর মোবাররক খলিফার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে কথা হয়েছে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মামুদপুর কেন্দ্রের দায়িত্বরত আওয়ামী লীগ কর্মী সমরেশ কুমার সিকদারের সঙ্গে।

সমরেশ কুমার সিকদার বলেন, ওই এলাকায় আমাদের নৌকার ক্যাম্প থেকে একটি মিছিল বের হয়ে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় এ কে আজাদের ক্যাম্প থেকে আমাদের মিছিলের ওপর আগে হামলা চালানো হয়।

তবে আওয়ামী লীগের কোনো কর্মী আহত হয়েছে কি না তা তিনি জানাতে পারেননি।

শামীম হকের সমর্থক ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুস সালাম শেখ বলেন, শহরের মাহমুদপুর এলাকায় একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে গন্ডগোলের সংবাদ শুনেছি। ওই পর্যন্তই, এর বাইরে আমার কিছু জানা নেই।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একে আজাদের জখম হওয়া কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এলাকাবাসী ও একে আজাদের ওই কর্মী জানিয়েছেন মোবারক খলিফার নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা আরও খোঁজ খবর নিচ্ছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জহির হোসেন/এমএএস