ঘরে ঝুলছিল মায়ের মরদেহ, পা ধরে কাঁদছিল মেয়ে
ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগে নিজের ঘর থেকে জান্নাতুল ফেরদৌস স্বর্ণা (২০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
জান্নাতুল ফেরদৌস স্বর্ণা কাজিরবাগ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপুর গ্রামের আজিম পাটোয়ারী বাড়ির কুয়েতপ্রবাসী আবু বক্কর সিদ্দিক ইয়ামিনের স্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে স্বর্ণার ঘর থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে শাশুড়ি হোসনে আরা বেগম স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে পুলিশ ও স্বর্ণার পরিবারকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে স্বর্ণার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় স্বর্ণার পা খাটের সাথে লাগানো ছিল। তার দুই বছর বয়সী মেয়ে রুপা মায়ের পা ধরে কান্না করছিল।
স্বর্ণার ভাই ইয়াসিন বলেন, ৪ মাস আগে স্বর্ণার স্বামী প্রবাস থেকে বাড়ি ফিরে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তখন আমার পরিবার ৫০ হাজার টাকা দিলেও সে নিয়মিত বোনকে নির্যাতন করত। সোমবার রাতে স্বর্ণা ফোন দিয়ে আমাকে বাঁচান, আমাকে বাঁচান বলে ফোন কেটে দেয়। সকালে গিয়ে তাকে দেখে আসব বললেও তার আগেই তার মৃত্যুর খবর পাই। আমার বোনকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে। তার পা খাটের সাথে লাগানো ছিল।
এর আগে এসব ঘটনায় চলতি বছরের ৮ আগস্ট ফেনীর সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর আমলি আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করে স্বর্ণার পরিবার।
ফেনী মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাতে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তারেক চৌধুরী/আরএআর