স্বতন্ত্রের পক্ষে প্রচার, তিন আ.লীগ নেতাকে পেটালেন তানসেনের ভাগনে
বগুড়ার নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগের তিন নেতাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী ও জাসদের জেলা সভাপতি একেএম রেজাউল করিম তানসেনের ভাগনের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নন্দীগ্রাম উপজেলার শিমলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ব্যক্তিরা হলেন- নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি রুবেল হোসেন, সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন ও যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন। তারা নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মহাজোটের হয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন জেলা জাসদের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেন।
একই আসনে সাবেক বিএনপি নেতা জিয়াউল হক মোল্লা ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের ওই তিন নেতা এবার জিয়াউল হক মোল্লার পক্ষে ভোটের প্রচারণায় নেমেছেন।
দুপুরে তারা জিয়াউল হক মোল্লার নির্বাচনী প্রচারণা শেষে শিমলা বাজারে রুহুল আমিনের দোকানে বসে গল্প গুজব করছিলেন। এ সময় নৌকার প্রার্থী তানসেনের ভাগনে মিলন রহমানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন এসে আওয়ামী লীগের তিন নেতার ওপর হামলা চালান। তারা লাঠিসোঁটা ও বটম দিয়ে বেধড়ক পেটানোর পর দোকানটির মালামাল তছনছ করেন।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রুবেল হোসেন বলেন, তানসেন নৌকা মার্কা নিয়ে দুইবার এমপি হয়ে আওয়ামী লীগের লোকজনকেই বিপদে ফেলেছেন। এজন্য তাকে আমরা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলের প্রার্থী না থাকায় মোল্লার পক্ষে স্থানীয়ভাবে কাজ করছি। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে শিমলা বাজারে ডা. জিয়াউল হক মোল্লা গণসংযোগ করে চলে যান।
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা জাসদের সভাপতি ও নৌকার প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের তিন নেতা দলের বিরুদ্ধে গিয়ে বিএনপি নেতার ভোট করছে। তারা প্রচারণা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বললে আমার ভাগনে নিষেধ করে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। মারপিটের অভিযোগ সত্য নয়।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আজমগীর হোসাইন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আসাফ উদ দৌলা নিওন/এএএ