কোমরে পিস্তল নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় আ. লীগ নেতা, ছবি ভাইরাল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের নৌকা প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় কোমরে পিস্তল রাখার অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগের নেতার বিরুদ্ধে।
পলাশ উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপের পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় ইউনিয়নটির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া রিপনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তার এমন একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে জেলাজুড়ে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আমদিয়ার ইউনিয়নের কান্দাইল গ্রামে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নৌকার প্রচারণা চালান সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দিন। সে সময় তার কোমরে একটি কালো রঙের পিস্তল গোঁজা থাকতে দেখা যায়। পরে নাজিম উদ্দিনের কোমরে পিস্তল গোঁজা একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার সঙ্গে নৌকার প্রার্থী ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ উপস্থিত ছিলেন।
তবে গত ৪ ডিসেম্বর নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অস্ত্র বহন ও প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দিন বলেন, অস্ত্রটি লাইসেন্স করা। নির্বাচন চলাকালে এটি বহন করা যাবে না, এমন পরিপত্র জারি করা হয়েছে কি না, সেটি আমি জানি না। এছাড়া কোমরে পিস্তল থাকলেও আমি কাউকে ভয় দেখায়নি, এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে কি না, আমার জানা নেই।
নরসিংদী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আমদিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা সহকারী রিটার্নিং অফিসার ওমর ফারুক বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এখনো আসেনি। কেউ আমাদের কাছে অভিযোগও করেনি। খোঁজ-খবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নরসিংদীর পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম সাংবাদিকের জানান, ‘এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাতে নির্বাচন চলাকালে অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা না হয়। অস্ত্র প্রদর্শন সেটা বৈধ বা অবৈধ হোক কিন্তু এটি আপাতত নিষিদ্ধ।’
তন্ময় সাহা/আরকে