হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ

হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ বলেছেন, আমি গেরদায় (ফরিদপুর সদরের একটি ইউনিয়ন) একটা ট্রেনিং সেন্টার দিয়ে শুরু করেছি। সেখানে শিক্ষিত, অর্ধ-শিক্ষিত ও হাতে নাম লিখতে পারে এমন মানুষকে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক এনে এদেরকে আমি কয়েক কোটি টাকা খরচ করে কাজ শেখাচ্ছি। এখান থেকে প্রতি মাসে ১০০ থেকে ১৫০ জন ছেলেমেয়েকে চাকরি দিয়ে ঢাকায় পাঠাচ্ছি।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে ফরিদপুর সদরের কানাইপুর বাজারের এক নির্বাচনী পথসভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঈগল প্রতীকে নির্বাচন করছেন তিনি।

এ কে আজাদ বলেন, আপনাদের কানাইপুরের অনেক ছেলে-মেয়ে হা-মীম গ্রুপে চাকরি করেন। হা-মীম গ্রুপে ৭৫ হাজার এবং আমার ছোট ভাইয়ের শারমিন গ্রুপে ৩০ হাজার লোক চাকরি করে। এর মধ্যে অনেকেই ফরিদপুরের ছেলে-মেয়ে। আমি যেখানে যাই, দেখি তারা বাড়িতে এসে নিজের পয়সা খরচ করে প্রচারণা চালাচ্ছে।

এ কে আজাদ বলেন, ইনশাআল্লাহ আপনারা যদি আমাকে নির্বাচিত করেন, প্রত্যেকটা ইউনিয়নে আমি ট্রেনিং সেন্টার করে দেব। অটোরিকশা চালক, মাহেন্দ্র চালকরা অনেক কষ্ট করে পয়সা উপার্জন করেন। এই কষ্টের টাকায় যদি চাঁদা দিতে হয় এটা মেনে নেওয়া যায় না। এই চাঁদাবাজি আমি বন্ধ করব। রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে আপনাদের নির্যাতন আমি বন্ধ করে দেব। আপনারা আমাকে ঈগলে ভোট দিলে প্রত্যেক ঘরে ঘরে পারব না, তবে প্রত্যেক ইউনিয়নে ছেলেমেয়েরা শারমিন গ্রুপ ও হা-মীম গ্রুপে চাকরি করবে এই নিশ্চয়তা দিয়ে গেলাম।

এ সময় কানাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফকির মো.বেলায়েত হোসেন, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক মোকাররম বাবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জহির হোসেন/এএএ