নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আজকে আবার বিএনপি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। আমাদের দেশে বলে ‘বাজারে ধান-চাল চলেনা কোম্বা নিবো কনে’। মানে ধান চাল বিক্রি হয় না কুমড়া কিনবে কে। তারেক জিয়া হইসে বঙ্গবন্ধু! নাক টিপলে দুধ বের হবে সে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়। বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল সারাদেশের মানুষ সেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল। ২০১৩-১৪ সালের বিএনপির অবরোধ এখনো শেষ হয় নাই। তারা অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সরকার পতনের জন্য। কিন্তু সরকারও পতন হবে না, অসহযোগ আন্দোলনও সফল হবে না।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে কোম্পানীগঞ্জের চর কাঁকড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের একাডেমির মোড়ে ওবায়দুল কাদেরের জন্য ভোট চাইতে গিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বলেন, সরকার পরিবর্তনের একমাত্র মাধ্যম হলো নির্বাচন। বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমিও নেত্রীর কথার সঙ্গে মিলিয়ে বলতে চাই আগামী ৭ জানুয়ারি আমাদের এখানে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আপনার ভোট আপনি দেবেন, যাকে ইচ্ছা তাকে দেবেন। আপনারা দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসবেন। কেউ বাড়িতে থাকবেন না। নাহলে শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছেন তার প্রতি অসম্মান করা হবে।

ওবায়দুল কাদের সাহেবের উন্নয়নের কথা বলে শেষ করা যাবে না উল্লেখ করে কাদের মির্জা বলেন, আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের সাহেব ৯৫ ভাগ রাস্তা পাকা করেছেন। শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। ইসলামের জন্য আগে কেউ এভাবে মসজিদ নির্মাণ করেনি। সেটা আওয়ামী লীগ সরকার করেছে। আমাদের নেতা স্কুল, কলেজ মাদরাসার জন্য নতুন ভবন করেছে। মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা চালু করেছেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদের সাহেবের উন্নয়নের কথা বলেও শেষ করা যাবে না।

কাদের মির্জা বলেন, সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। একটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। সেই জন্য নির্বাচন করতেই হবে। কিন্তু বিএনপি সারা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে।  তারা গাজীপুরে রেললাইন কেটে নাশকতা করেছে। তেজগাঁও রেলের বগিতে আগুন দিয়ে শিশুসহ চারজনকে হত্যা করেছে। তারা পুলিশকে হত্যা করেছে, বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে। তারা নাশকতা করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে এবং সব বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করতে হবে। 

এসময় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইউনুস, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্লাহ হামিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহাজ উদ্দীন মামুন, পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রাসেল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আইনুল মারুফসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

হাসিব আল আমিন/আরকে