জাতীয় স্বার্থে সাবেক বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমর ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় বরিশাল নগরীর কবি জীবনানন্দ দাশ সড়কে নিজ বাসভবনে রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

আমির হোসেন আমু বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে এবং মুক্তিযুদ্ধে চেতনা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বোপরি সাংবিধানিক ভিত্তি বজায় রাখার জন্যই আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন শাহজাহান ওমর। জাতীয় স্বার্থে যোগদান করার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আজকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা মারা যাওয়ার পর আমাদের সব নেতারা জেলে ছিলেন। তারপরও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশে আন্দোলন হয়েছে। আওয়ামী লীগের আন্দোলনে খালেদা জিয়া একমাসের মধ্যে ক্ষমতা ছেড়ে আবার নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। এরশাদও পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল। আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করে পাকিস্তান আমল থেকে দেশকে বের করে করে নিয়ে এসেছে।

বিএনপির আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। জনগণ সঙ্গে থাকলে তাদের হরতাল-অবরোধ সফল হতো। আমরা হরতালের ডাক দিলে অটোমেটিক হরতাল হয়ে যেত। পিকেটিংও করা লাগত না। পরে আমরা মিছিল করতাম। কিন্তু এখন বিএনপি কত দিন-মাস ধরে অবরোধ-হরতালের ডাক দিচ্ছে। এরপরও গাড়ি-রিকশা সবই চলছে, বাজারঘাট চলছে। কোনো কিছুতেই মনে হয় না হরতাল বা অবরোধ চলছে। আন্দোলন দলের কর্মীর ওপর নির্ভর করে না, আন্দোলন নির্ভর করে জনগণের সম্পৃক্ততায়। জনগণ সম্পৃক্ত থাকলে আন্দোলনে সফল হওয়া যায়, নইলে না।

এসময় ঝালকাঠি-১ আসনের নৌকার প্রার্থী শাহজাহান ওমরসহ জেলা আওয়ামী লীগ এবং রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, দুপুরে শাহজাহান ওমরকে বর্জন করে নৌকার বিপক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেয় রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ। সেই ঘোষণার ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে সেসব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমুর। সেখানে শাহজাহান ওমরও উপস্থিত ছিলেন। এরপরে গণমাধ্যমে কথা বলেন তারা।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/কেএ