জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় তেলবাহী গাড়ির ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত ভ্যানের দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ভ্যানের চালকসহ আরও চারজন আহত হয়েছেন। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কালাই পৌরসভার টেলিফোন অফিসের সামনে বগুড়া-জয়পুরহাট আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ক্ষেতলাল উপজেলার তারাকুল গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০) ও একই গ্রামের মৃত জিয়া উদ্দিনের ছেলে সোবহান মিয়া (৬০)। তারা দুজন ভ্যানের যাত্রী ছিলেন। 

আহতরা হলেন- তারাকুল গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে আজিজুল ইসলাম (৪০), মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মুনছুর আলী (৩২), মৃত সাহাদত আলীর ছেলে সুজাউল ইসলাম (৫০) ও মৃত রজিব মোল্লার ছেলে কুরবান আলী (৪০)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কালাই বাজার থেকে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে আজিজুল ইসলাম পাঁচজন যাত্রী নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে কালাইয়ের টেলিফোন অফিসের সামনে একটি তেলবাহী গাড়ি পেছন থেকে ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে উল্টে যায় এবং ভ্যান চালকসহ ছয়জন আহত হয়। তেলবাহী গাড়িটিও খাদে পড়ে যায়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোবহান মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আর আহত চারজনের মধ্যে রফিকুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান।

আহত ভ্যানের যাত্রী সুজাউল ইসলাম বলেন, অন্ধকারে কোন দিক দিয়ে গাড়িটা এসে লাগলো বলা পারি না। ভ্যানের কে কোন দিকে পড়ে গেছি তাও জানি না। আমার ওই সময় জ্ঞান ছিল, পায়ে লেগেছে। মানুষ আমাকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে আসছে। আমরা কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছি।

কালাই থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, হতাহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করবে না বলে জানিয়েছে। ভ্যানটিকে ধাক্কা মেরে তেলবাহী গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। সেটি এখনও খাদে আছে। ওই গাড়ির চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।

চম্পক কুমার/আরএআর