আমার ফুফু নৌকাটা আপনাকে দেয় আর বৈঠাটা আমাকে : নিক্সন
ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের সংসদ সদস্য যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন ওই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্যাহকে বলেছেন, আপনার মতো একটা না ১০০ প্লেয়ারও এই তিন থানায় ভোট কাটার ক্ষমতা রাখে না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের ঈগল পাখি প্রতীকের নির্বাচনী সভায় এ কথা বলেন নিক্সন। ভাঙ্গার আজিমনগর ইউনিয়নের শিমুলবাজারে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
কাজী জাফরউল্যাহকে 'চাচা' সম্বোধন করে মুজিবুর রহমান নিক্সন বলেন, আপনি তো চাচা দুইবার ইলেকশন কইরা ভাইস্তারে চিনলেন না। আপনার মতো একটা না ১০০ প্লেয়ারও ভোট কাটার ক্ষমতা রাখে না। ভয়, ধমক কম দেন। বাংলাদেশে এমন কোনো প্লেয়ার এখনও পয়দা হয় নাই যে নিক্সন চৌধুরীর তিন থানায় এসে ভোট কাটবে। সে যত বড় নেতা হোক আর হেভিওয়েট হোক।
নিক্সন বলেন, গতবার সিংহের (২০১৮'র নির্বাচনে নিক্সনের প্রতীক) থাবায় আপনি ৫ বছর এলাকায় আসেন নাই। এবার ঈগলের ছোবলে আরও দশ বছর আসবেন না।
যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নিক্সন বলেন, বারবার আমার ফুফু শেখ হাসিনা নৌকাটা আপনাকে দেয় আর বৈঠাটা আমাকে দেয়। আমি সেই বৈঠা নিয়ে ভেলা বেয়ে নদী পার হই আর আপনি খালি নৌকা নিয়ে নদীর মধ্যে ঘুরেন।
নিক্সন বলেন, এমন কোনো সপ্তাহ নেই আমি সপ্তাহে তিন-চার দিন বাড়ি আসি নাই। যৌবনের দশটা বছর আপনাদের পেছনে ব্যয় করেছি। মানুষের বিপদে থাকলে যদি মানুষ ভোট দেয় তাহলে মানুষ আমাকে ভোট দেবে। তার দুইটা দালাল মাঠে বলে যে ওনারা বলে এমপি হয়ে আসছে। আমি বলি গালি দিলে ভোট বারে না, ভোট বারে সম্মানে।
তিনি বলেন,আমি বুঝিই না নির্বাচনের বাকি ১৬/১৭ দিন। চাচায় ঢাকায় গেছেন চারদিন আগে। সেখানে লেপ-কম্বল মুরি দিয়া ঘুমাইতেছেন। কবে আসবেন তা জানেন না।
সভায় ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা ফাইজুর রহমানসহ স্থানীয় যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, নিক্সন গত ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুইবার আনারস ও সিংহ প্রতীক নিয়ে নৌকার মাঝি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার নিক্সন লড়ছেন ঈগল পাখি প্রতীক নিয়ে। এই দুজন ছাড়াও এই আসনে নির্বাচন করবেন মো. আনোয়ার হোসেন (জাতীয় পার্টি), মাকসুদ আহমেদ (তরিকত ফেডারেশন), মো. আলমগীর কবির (সুপ্রিম পার্টি) ও নাজমুন নাহার (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।
জহির হোসেন/এমএএস