নুর ইসলাম মিন্টু

নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ‘ভোট হবে একমাত্র নৌকার, আমরা সেন্টার দখল করে রাখব’- এমন বক্তব্য দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম মিন্টুকে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটি। 

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. তাজউল ইসলাম তাকে শোকজ নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশে আগামীকাল বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কমিটির কাছে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, আপনি নুর ইসলাম মিন্টু গত রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার মল্লিকচক গ্রামে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে বলেছেন, ‘মন্ডতোষ ইউনিয়নে ভোট হবে উৎফুল্ল মনে, একমাত্র নৌকার। একমাত্র মকবুল সাহেবের নৌকার। এর বাইরে কোনো লোক, কোনো এজেন্টও থাকবে না, কিচ্ছু থাকবে না। আমরা মমিনপাড়া সেন্টার (ভোটকেন্দ্র) দখল করে রাখব। আমরা ওপেন ভোট দেব। আপনারা শুধু সহযোগিতা করবেন আমাদের।’

আপনি আরও বলেছেন যে, ‘আফসারের সাঙ্গপাঙ্গ যা আছে, ওদের হাড়-হুড্ডি ভাইঙ্গে এই এলাকা থেকে আমরা শেষ কইরে দেব।’

বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। যা নির্বাচন-পূর্ব একটি অনিয়ম। আপনার উক্তরূপ কাজ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন মর্মে প্রতিয়মান হয়েছে। আইন ভঙ্গের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সেই মর্মে আগামীকাল বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় সশরীরে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মন্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম মিন্টু বলেন, নোটিশ পেয়েছি। বুধবার কমিটির কাছে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেব। 

এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো বিষয়ে জানার থাকলে অফিসে আসেন। তারপর কথা বলব।’ এই বলে ফোন কেটে দেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে ভাঙ্গুড়া উপজেলার মল্লিকচক গ্রামে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মীকে নিয়ে মতবিনিময় সভায় নানা রকম উসকানি ও হুমকিমূলক বক্তব্য দেন নুর ইসলাম মিন্টু।

রাকিব হাসনাত/আরএআর