বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার পর উত্তেজনা বিরাজ করছে নগরীতে। 
এরইমধ্যে সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী ও আওয়ামী লীগ মনোনীত জাহিদ ফারুক অনুসারীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে আহত একজনকে হাসপাতালে নিতে চাইলে তাকে বহনকারী ইজিবাইক ভাঙচুর ও আহত ওই ব্যক্তির স্বজনের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে দুই দফায় মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানা এলাকার ৫ নং ওয়ার্ড পলাশপুর ৭ নং গুচ্ছগ্রাম মসজিদের সামনে ব্রিজের ওপরে এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে উভয় পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। যদিও হাসপাতালে তিনজন চিকিৎসা নিয়েছেন।

নৌকা প্রতীকের সমর্থক হালিম খলিফা বলেন, ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধনের জন্য আমি লোকজনকে দাওয়াত দিচ্ছিলাম। এ সময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী আমিন হাওলাদার আমাকে বলেন, তোর বাবা (সাদিক) নির্বাচন করতেছে তুই জানিস না? এ নিয়ে আমাদের দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে আমিন কয়েকজন নিয়ে এসে আমাকে মারধর করেন। আমি এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই ঘটনার সূত্র ধরে জাহিদ ফারুক অনুসারী নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে ৭ নম্বর গুচ্ছগ্রামের সাদিক অনুসারী আমিন হাওলাদারের বাসার সামনে জড়ো হয়ে তাকে খুঁজতে থাকেন। রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে আমিনকে মারধর করা হয়।  

আমিন হাওলাদার বলেন, বিনা কারণে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে হালিম খলিফা। সে নৌকার প্রচারণার নাম করে এলাকায় অপপ্রচার চালাচ্ছিল। আমার ভাই আসিবকে বেদম পিটিয়েছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে গেলে তাকে বহনকারী অটোরিকশাটি ভাঙচুর করে এবং রাব্বির মোটরসাইকেলটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় মন্ত্রীপন্থি লোকজন।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) ফজলুল করিম জানান, পলাশপুর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনায় দুইপক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএফ