মাদারীপুর-২ আসন থেকে শাজাহান খান ৭ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, হয়েছেন মন্ত্রীও। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য প্রার্থী হয়েছেন। 

সংসদ সদস্য শাজাহান খান মন্ত্রিত্ব হারানোর পর তার ব্যবসা থেকে আয় কমেছে। ২০১৮ সালে মন্ত্রী থাকাকালে তার হলফনামা মোতাবেক ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ছিলো ৩ কোটি ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৫০ টাকা। 

মন্ত্রিত্ব হারানোর পর ২০২৩ সালের হলফনামা মোতাবেক তার বার্ষিক আয় ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। তবে শাজাহান খান ও তার স্ত্রীর সম্পদ ও আয় ১৫ বছরে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ১৫ বছরে তার আয় বেড়েছে সোয়া ৩২ গুণ।

২০০৮, ২০১৮ ও ২০২৩ সালে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে শাজাহান খানের দাখিল করা হলফনামার তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। 

২০০৮ সালে শাজাহান খানের বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এবার তিনি আয় দেখিয়েছেন ২ কোটি ২০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৬২৪ টাকা। অর্থাৎ ১৫ বছরে তার আয় বেড়ে প্রায় সোয়া ৩২ গুণ হয়েছে।

তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে বার্ষিক সম্মানী ভাতা পেয়ে থাকেন ২৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ২৮৪ টাকা তবে ২০১৮ সালে এই ভাতার পরিমাণ ছিল ২৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫৮০ টাকা। তার স্ত্রীর নামে অবিশ্বাস্য কমমূল্যে রাজউক পূর্বাচলে ১০ কাঠার একটি প্লট রয়েছে। 

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ছিলেন দেনাদার। ১৫ বছর আগে যখন শাজাহান খান মনোনয়নপত্র জমা দেন তখন তার মাসিক আয় ছিল ৫৭ হাজার ৮৬ টাকা। তার স্ত্রীর শিক্ষকতা থেকে মাসে আসত পাঁচ হাজার দুইশ টাকা। তখন তাদের স্বামী-স্ত্রীর হাতে নগদ কোনো টাকা ছিল না। বরং ঋণ ছিল ৪২ লাখ টাকার উপরে। ২০০৮ সালে শাজাহান খানের বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৩৬ টাকা। ২০০৮ সালে শাজাহান খানের অস্থাবর সম্পদ ছিল ৫৭ লাখ টাকার। এখন তা হয়েছে ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

তিনি পেশা হিসেবে রাজনীতি, সাধারণ ব্যবসা ও অন্যান্য উল্লেখ করেছেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেন স্নাতক (পাস)। তার হলফনামা মোতাবেক ১৯৭৫ সালে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি অস্ত্র মামলায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও ১৯৭০ সালে একটি মামলায় তার ৬ মাসের কারাদণ্ড হয়েছিল।

হলফনামা অনুযায়ী, শাজাহান খানের দুটি গাড়ি রয়েছে, যার দাম ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। তার একটি বন্দুক ও একটি পিস্তল রয়েছে যার মূল্য ৩ লাখ ২ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর নামে ৮০ তোলা সোনা রয়েছে। যার মূল্য ৮০ হাজার টাকা। তবে এর আগের হলফনামায় তার স্ত্রীর ১৫ তোলা সোনা ছিল।

এমএসএ