তাপমাত্রা কমছে দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে। তাপমাত্রা কমায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও স্বল্প আয়ের মানুষ। ঠান্ডায় কারণে কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগ বেড়েছে তাদের। 

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সোমবার ছিল ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ১ ডিগ্রি। সামনের দিনে যা আরো কমতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি ঘন কুয়াশার কারণে অধিকাংশ সময় মেঘে ঢাকা থাকছে সূর্য। শীতে গরম কাপড়ের অভাবে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের দরিদ্র মানুষগুলো। 

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলতি পাড়া গ্রামের কৃষি শ্রমিক সাহেব আলী বলেন, এতো ঠান্ডায় মানুষ তো বিছানা থেকে উঠে নাই, আর আমরা কাজের জন্য মাঠে যাচ্ছি। কাজ করতে গিয়ে হাত পা বরফ হয়ে যায়, কি আর করার, কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কলেজ মোড় এলাকার রহিমা বেগম বলেন, গতকাল থেকে খুবই ঠান্ডা পরছে। ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছি।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামী ২০ তারিখের পর ১০ ডিগ্রির নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।  

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, এ জেলায় শীতের শুরুতেই হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে সরকারিভাবে ৪৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

মো. জুয়েল রানা/জেডএস