সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার সাড়ে ৭ মাস পর রোববার রাতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী এক নারী। তবে এর মধ্যেই পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আসলাম। 

অন্যদিকে বিয়ের দাবিতে অভিযুক্তের বাড়িতে অনশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচার চেয়ে প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফরিদুল ইসলাম জানান, ওই নারী কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও তিনি এখন সুস্থ রয়েছেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতার স্ত্রীর বান্ধবী ভুক্তভোগী নারী। এ সুবাদে তার বাসায় ওই নারীর যাতায়াত ছিল। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৩০ এপ্রিল বাড়িতে স্ত্রী না থাকার সুযোগে কৌশলে বাড়িতে ডেকে এনে তাকে ধর্ষণ করেন আসলাম। বিয়ের প্রলোভনে পরে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে তাকে বিয়ে করতে টালবাহানা শুরু করেন। এ নিয়ে গত ১৭ নভেম্বর আসলামের বাড়িতে অনশনসহ বিভিন্ন বক্তব্য ফেসবুকে প্রচার করেন ওই নারী। পরে কাজি অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক নারীর স্বাক্ষর নেন যুবলীগ নেতা। এতে ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবারের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে এজাহারে বলা হয়।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য কাজিপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও যসংযোগ পাওয়া যায়নি।

কাজিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রাশেদ ইউসুফ জুয়েল বলেন, আসলাম লিখিতভাবে আমাদের জানিয়েছেন, স্থানীয়দের ইন্ধনে মেয়েটি তার বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। পরে তিনি সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। নতুন করে মামলার বিষয়টি এখনো আমরা জানি না।

শুভ কুমার ঘোষ/এমএএস