রংপুর-২ আসন
প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত লিলি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে দায়ের করা আপিলের শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমনা আক্তার লিলি।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আপিল আবেদনের ওপর শুনানিতে তার মনোনয়ন বৈধ হিসেবে মঞ্জুর করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।
বিজ্ঞাপন
সুমনা আক্তার লিলি রংপুর-২ (বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন জমা করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
মনোনয়ন বৈধতার বিষয়টি নিশ্চিত করে সুমনা আক্তার লিলি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ওপেন করে দেওয়ার কারণেই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। নির্বাচিত হলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নবঞ্চিত বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমি চেষ্টা করবো।
নির্বাচিত হলে বেকার সমস্যা দূরীকরণসহ মাদকমুক্ত যুবসমাজ গড়তে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস রংপুর-২ আসনের মানুষ আর ভুল করবে না। ৭ জানুয়ারি ভোটাররা তাদের কাঙ্ক্ষিত রায় দেবেন। আমি জনগণের রায়ে এই আসনটি বঙ্গবন্ধুকন্যাকে উপহার দিতে চাই।
আরও পড়ুন
এদিকে, সুমনা আক্তার লিলির প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার খবরে মিষ্টি বিতরণ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলায় লিলির কর্মী-সমর্থকরা।
গতকাল (রোববার) নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানির প্রথম দিনে রংপুর-২ আসনের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটুও প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর রংপুর-২ আসনে ৬ জন প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর মনোনয়ন জমা করেছিলেন।
রংপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের নেতৃত্বে যাচাই-বাছাইয়ে বিএনএফ মনোনীত জিল্লুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ সরকার বিটু এবং সুমনা আক্তার লিলির মনোনয়ন বাতিল হয়। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে তারা নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন।
এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য আনিছুল ইসলাম মণ্ডল ও জাকের পার্টির আশরাফ উজ জামানের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ