বরিশাল-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল আলম চুন্নু নিজের সম্পদের চেয়েও বেশি টাকা ছেলের কাছে দায় নিয়ে নির্বাচনে ফিরেছেন। তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে এসে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ছাড়েন। 

অনার্স পাস করা শামসুল আলম হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস এবং রুপা শিপিং লাইন্স নামে অভ্যন্তরীণ কার্গো ব্যবসা রয়েছে। তার বাৎসরিক মোট আয় ২৭ লাখ ৮০ হাজার ৭১৬ টাকা। এর মধ্যে ব্যবসা খাত থেকে ২০ লাখ ৩২ হাজার ৫শ টাকা, পরামর্শক পেশা থেকে ১২শ ১৬ টাকা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানী ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

শামসুল আলমের স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ৬৪ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যমানের সম্পত্তি রয়েছে। এরমধ্যে ১ লাখ টাকা নগদ, ব্যাংকে জমা ৪ লাখ টাকা, ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার যানবাহন, ২০ হাজার টাকা মূল্যের ১০ তোলা স্বর্ণ, দুই লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র এবং অন্যান্য দ্রব্যাদি রয়েছে ৭ লাখ টাকার। ৪৭৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ জমি রয়েছে যার মূল্য ধরা হয়েছে ১০ লাখ টাকা এবং ৩০ লাখ টাকা সমমূল্যের একটি বাড়ি রয়েছে।

ছেলের কাছে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার দায় রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। তবে কোনো খাতে এই দায় তা স্পষ্ট করেনি। 

শামসুল আলম চুন্নু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলেও না পাওয়ায় শেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ মল্লিককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এরআগে ঋণ খেলাপি ও ১ শতাংশ সমর্থকের সাক্ষরে গড়মিল থাকায় ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাতিল হয় শামসুল আলমের। তবে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে শুনানি শেষে ১০ ডিসেম্বর তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে কমিশন।

শামসুল আলম বলেন, ভোট যুদ্ধে নামার আগে এটি একটি বড় বিজয় বলে মনে করছি। প্রার্থিতা বাতিলের খবর শুনে আমার নির্বাচনী এলাকায় সবাই স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিল। আজকে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার খবর শুনে সবার মধ্যে আবার স্বস্তি ফিরে এসেছে। আশা করি একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে।

এমএসএ