দলীয় ভাবমূর্তি ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে বিএনপির ১২ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার (১০ ডিসেম্বর) তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কারের বিষয়টি জানা গেছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন বোয়ালমারী উপজেলার প্রচার সম্পাদক এস এম বাদশা মিয়া, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক গোলাম কুদ্দুছ মোল্লা, বৈদেশিক বিষয়ক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক কামরুজ্জামান হাছান, বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সদস্য আতিয়ার রহমান ও স্বপন ব্রহ্ম, আলফাডাঙ্গায় পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম দাউদ ও মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম শেখ ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবু সালেহ মুসা ও মধুখালী পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুর রহমান।

জানা গেছে, ওই ১২ নেতা ‘কিংস পার্টি’ খ্যাত বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মো. আবু জাফরের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। এজন্য তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য আবু জাফরকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। 

বহিষ্কার সম্পর্কে জানতে চাইলে বোয়ালমারী উপজেলার প্রচার সম্পাদক এস এম বাদশা মিয়া বলেন, আমি শাহ জাফরের দল করি। আমার আর কোনো পরিচয় নেই। দল আমি বুঝি না। শাহ জাফরকে বুঝি। আমাকে রাজনীতিতে এনেছেন শাহ জাফর, আমাকে উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক বানিয়েছেন শাহ জাফর। যতদিন শাহ জাফর বেঁচে আছেন আমি ততদিন তার দলই করবো। আমার সামনে শাহ জাফর ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সনের নির্দেশ অনুযায়ী এবং তার অনুমতি নিয়েই আমি এ সাংগঠনিক পদক্ষেপ নিয়েছি।

প্রসঙ্গত, ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, মধুখালী) আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মো. আবু জাফর কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত ২০ নভেম্বর শাহ জাফর বিএনপি ছেড়ে নব গঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন। এজন্য বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শাহ জাফরকে দলের প্রাথমিক পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করেন।

জহির হোসেন/এএএ