আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে ফরিদপুরে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যেই পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় পুলিশ মানববন্ধনের ব্যানার কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। 

রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কোর্ট পাড় এলাকায় আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার নেতাকর্মী ও নাগরিক পরিবারের স্বজনদের’ এই মানববন্ধনে নেতাকর্মীরা জড়ো হন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিতে কোর্ট চত্বরে সকাল ১০টা ১৫ মিনিট থেকে জড়ো হতে থাকেন। ওই সময়ই উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে মহানগর বিএনপির সভাপতি বেনজীর আহমেদের পরিচালনায় অংশগ্রহণকারী ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। 

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আশরাফ ও গোলাম রব্বানী বক্তব্য দেওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। মাত্র ১৫ মিনিট সভা করার পর ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের সদস্যরা সেখানে এসে বিএনপির নেতাদের জানান, অনেক সময় মানববন্ধন করেছেন আর এখানে দাঁড়ানো যাবে না। আর এক মিনিটও মানববন্ধন করা যাবে না বলে আয়োজকদের জানায় পুলিশ। 

এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের দ্রুত ওই জায়গা ত্যাগ করতে বলে পুলিশ। তবে বিএনপির কর্মীরা সেখান থেকে না যাওয়ায় পুলিশ মানববন্ধনে বাধা দেয় এবং ব্যানার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি ঘোলাটে হওয়ার আগেই সেখান  থেকে সটকে পড়েন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে মানববন্ধনটি পণ্ড হয়ে যায়। 

ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি বেনজীর আহমেদ বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে পুলিশ ১৫ মিনিটও দাঁড়াতে দেয়নি। আমরা এ কেমন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বসবাস করি যেখানে একটি মানববন্ধন আমরা ঠিকমত করতে পারব না।

তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে পুলিশ এসে আমাদের ব্যানার কেড়ে নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পণ্ড করে দিয়ে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আনুগত্যের প্রমাণ রেখেছে।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিল বলেন, কোর্ট চত্বরে সবসময়ই পুলিশ থাকে। সেখানে বিএনপি কোনো মানববন্ধন করেছে বলে আমার জানা নেই।

জহির হোসেন/আরএআর